বাড়ি কিনলে বউ ফ্রি

বাড়ি কিনলে বউ ফ্রি! অনলাইনে এমন বিজ্ঞাপন দেখে চমকাবেন না কিন্তু! দিন কয়েক ধরেই ইন্টারনেট-আসক্ত ইন্দোনেশিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে বাড়ি বিক্রির একটি বিজ্ঞাপন। তবে বিজ্ঞাপনটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হল, ওই বাড়িটি কিনলে বিয়ে করতে হবে বাড়ির মালকিনকে। এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই ভিরমি খেতে পারেন। অনেকেই আবার বিষয়টিকে মজাচ্ছলেও নিতে পারেন। কিন্তু সে সুযোগ দেননি বিজ্ঞাপনদাতা। বিজ্ঞাপনের শেষেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

স্লেম্যান শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৫ ০২:০৬
Share:

বাড়ির মালকিন উইনা লিয়া।

বাড়ি কিনলে বউ ফ্রি! অনলাইনে এমন বিজ্ঞাপন দেখে চমকাবেন না কিন্তু!

Advertisement

দিন কয়েক ধরেই ইন্টারনেট-আসক্ত ইন্দোনেশিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে বাড়ি বিক্রির একটি বিজ্ঞাপন। তবে বিজ্ঞাপনটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হল, ওই বাড়িটি কিনলে বিয়ে করতে হবে বাড়ির মালকিনকে। এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই ভিরমি খেতে পারেন। অনেকেই আবার বিষয়টিকে মজাচ্ছলেও নিতে পারেন। কিন্তু সে সুযোগ দেননি বিজ্ঞাপনদাতা। বিজ্ঞাপনের শেষেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

দুই সন্তানের জননী বছর চল্লিশের উইনা লিয়া একটি বিউটি পার্লারের মালকিন। অনেক দিন আগেই স্বামীকে হারিয়েছেন। দিন কয়েক আগে নিজের বাড়ি বেচার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর পর এক বন্ধুর পরামর্শে তিনি ইন্টারনেটে একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে বসেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, ক্রেতাদের উদ্দেশে এক অভিনব প্রস্তাব রেখেছেন তিনি।

Advertisement

বিজ্ঞাপনের প্রথম অংশ অন্যান্য বিজ্ঞাপনের মতোই। তেমন নজরকাড়া কিছুই নেই। ‘দু’টি শোয়ার ঘর, দু’টি শৌচাগার-সহ একতলা বাড়িটিতে পার্কিংয়ের জায়গা ও পুকুরও রয়েছে।’ — এ পর্যন্ত তো সবই ঠিকই আছে। তবে তার পরের অংশে রয়েছে চমক। বিজ্ঞাপনটির সেই অংশে লেখা রয়েছে, ‘আপনারা যখন বাড়িটি কিনতে চাইবেন, তখন বাড়ির মালকিনকে বিয়ের প্রস্তাব দিতেই পারেন। সেই সঙ্গে ওই বাড়িটির সামনে একটি গাড়ির পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা মালকিন উইনা লিয়ার ছবি। সব শেষে রয়েছে শর্তাবলি প্রযোজ্য। আর লিয়া বিজ্ঞাপনে এটাও বলে দিতে ভোলেননি যে, তিনি কোনও রকম ঠাট্টা করছেন না। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফলে এ বিষয়ে তিনি দর কষাকষিও করতে চাননি।

ইন্টারনেটে ওই বিজ্ঞাপনটি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর বহু সংবাদমাধ্যম লিয়ার সাক্ষাত্‌কার নেওয়ার জন্য পৌঁছে গিয়েছে। বিজ্ঞাপনের সত্যতা যাচাই করতেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তাঁকে। বিজ্ঞাপনের এমন প্রতিক্রিয়ায় হতবাক লিয়া বলেন, “পুলিশ ভেবেছিল, ওটা হয়তো ভুল বিজ্ঞাপন। কিন্তু আমি তাঁদের কাছে পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, বিজ্ঞাপনের ভাবনাটা আমার মাথায় আসেনি। বন্ধুর কথাতেই আমি ওই বিজ্ঞাপনটি দিয়েছিলাম।” তিনি আরও জানান, আজই তাঁর বিজ্ঞাপন দেখে এক ব্যক্তি দেখা করতে এসেছিলেন। তবে এ ব্যাপারে তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা লিয়া সবিস্তার বলতে চাননি।

ইন্টারনেটে তো খুব তাড়াতাড়িই ওই বিজ্ঞাপনটি ছড়িয়ে পড়েছে! তবে সে ভাবেই সাড়া মিলেছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।

রাজকন্যা এবং পুরো রাজত্ব কার ভাগ্যে জোটে! এখন সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন