মেয়েকে থেঁতলে খুন, অনুতাপ নেই বাবার

নিজের হাতে মেয়েকে থেঁতলে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। ধরাও পড়েছেন পুলিশের জালে। চব্বিশ ঘণ্টা পেরোনোর পরও বাবার চোখেমুখে কিন্তু অনুতাপের লেশমাত্র নেই। উল্টে পুলিশকে জানিয়েছেন, “সে যা কাজ করেছিল, তার উপযুক্ত শাস্তিই পেয়েছে।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লাহৌর শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৪ ০২:০৭
Share:

নিজের হাতে মেয়েকে থেঁতলে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। ধরাও পড়েছেন পুলিশের জালে। চব্বিশ ঘণ্টা পেরোনোর পরও বাবার চোখেমুখে কিন্তু অনুতাপের লেশমাত্র নেই। উল্টে পুলিশকে জানিয়েছেন, “সে যা কাজ করেছিল, তার উপযুক্ত শাস্তিই পেয়েছে।”

Advertisement

গত কাল ভিড়ে ঠাসা লাহৌর হাইকোর্টের এক্কেবারে সামনে খুন হন অন্তঃসত্ত্বা ফরজানা ইকবাল। অভিযোগের আঙুল ওঠে তাঁরই বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বছর পঁচিশের ফরজানার অপরাধ, পরিবারের সকলের মত উপেক্ষা করে বিয়ে করেছিলেন নিজের পছন্দের পাত্রকে।

ফরজানা ও মহম্মদ ইকবালের বিয়ে ঠেকাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত জামাইয়ের নামে অপহরণ ও বিয়েতে জোর করার মামলা ঠুকে দিয়েছিল ফরজানার পরিবার। স্বামীর হয়ে সাক্ষ্য দিতেই কাল লাহৌর হাইকোর্টে যান ওই তরুণী। ফরজানার স্বামী ইকবালের দাবি, আইনজীবীর ঘর থেকে আদালতে যাবেন বলে সবে বেরিয়েছেন, সেই সময় জনা তিরিশেক লোক ছেঁকে ধরেন তাঁদের। দলে ছিলেন ফরজানার বাবা ও ভাইয়েরাও। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক ভাই সোজা গুলি চালিয়ে বসেন তাঁদের লক্ষ্য করে। প্রথম বার ফাঁড়া কাটলেও রেহাই মেলেনি বেশি ক্ষণের জন্য। দলের মধ্যে থেকেই এক মহিলা এর পর ঝাঁপিয়ে পড়েন ফরজানার উপর। মহম্মদের চোখের সামনেই ইট দিয়ে থেঁতলে, পিটিয়ে ফরজানাকে মেরে ফেলেন সকলে। ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে আদালতের মধ্যে যে পুলিশ বাহিনী ছিল, তারা কেন ছুটে আসেনি এ দিন সেই প্রশ্ন তুলেছেন ইকবাল। স্ত্রীকে হারিয়ে বড় ধাক্কা পেয়েছেন, কিন্তু বিচারের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়বেন বলে জানান তিনি।

Advertisement

অভিযুক্তরা ধরা পড়লেও শাস্তি কত দূর মিলবে, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে দেশের অভ্যন্তরেই। পাক মানবাধিকার রক্ষা সংগঠনের হিসেবে গত বছরই ৯০০ মহিলার প্রাণ গিয়েছে সম্মান রক্ষার্থে খুনের নামে। প্রকাশ্যে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের যাতে বিহিত হয়, সেই স্বর কিন্তু ক্রমেই জোরালো হচ্ছে পাকিস্তানে।

প্রয়াত মায়া অ্যাঞ্জেলো
সংবাদ সংস্থা • নিউ ইয়র্ক

মারা গেলেন আফ্রিকান-মার্কিন কবি এবং লেখিকা মায়া অ্যাঞ্জেলো। বয়স হয়েছিল ৮৬। দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ‘আই নো হোয়াই দ্য কেজড বার্ড সিঙ্গস’-এর রচয়িতা। তাঁর এই আত্মজীবনীর জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। জীবনের প্রথম ১৭টি বছর ধরা রয়েছে এই বইয়ে। তার পর লিখেছেন আরও ছ’টি আত্মজীবনী। কবিতা-প্রবন্ধ মিলিয়ে লিখেছেন ৩০টিরও বেশি বই। বুধবার উত্তর ক্যারোলাইনার উইন্সটন-সালেমে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর পুত্র গাই বি জনসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “এক জন শিক্ষক, সমাজকর্মী, শিল্পী এবং মানুষ হিসেবে জীবন কাটিয়েছেন। সাম্য, সহিষ্ণুতা এবং শান্তির জন্য লড়াই করেছেন। তাঁর সঙ্গে কাটানো সময়ের কোনও তুলনা হয় না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন