লিবিয়ায় বাংলাদেশি-সহ পণবন্দি ৯

আট নিরাপত্তারক্ষীর মুণ্ডচ্ছেদ করে তেলখনিতে ঢুকে ন’জন বিদেশিকে পণবন্দি করল জঙ্গিরা। সূত্রের খবর, গত শুক্রবার মধ্য লিবিয়ার একটি তেলখনি এলাকায় জঙ্গিরা ন’জনকে অপহরণ করে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক জন বাংলাদেশের নাগরিকও। এ ছাড়াও জঙ্গিদের হাতে পণবন্দি রয়েছেন ফিলিপিন্সের ৪ বাসিন্দা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ত্রিপোলি শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৫ ০৩:৩৬
Share:

আট নিরাপত্তারক্ষীর মুণ্ডচ্ছেদ করে তেলখনিতে ঢুকে ন’জন বিদেশিকে পণবন্দি করল জঙ্গিরা।

Advertisement

সূত্রের খবর, গত শুক্রবার মধ্য লিবিয়ার একটি তেলখনি এলাকায় জঙ্গিরা ন’জনকে অপহরণ করে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক জন বাংলাদেশের নাগরিকও। এ ছাড়াও জঙ্গিদের হাতে পণবন্দি রয়েছেন ফিলিপিন্সের ৪ বাসিন্দা। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, অপহরণকারীরা এখনও সরকার পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাদের কোনও দাবিদাওয়াও আজ রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। হেলাল উদ্দিন নামে এক বাঙালি যে লিবিয়ার ওই তেলখনিতে জঙ্গিদের হাতে অপহৃত হয়েছেন, সে কথা আজ স্বীকার করেছে বাংলাদেশ সরকার। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশের এক নাগরিক লিবিয়ায় অপহৃত হয়েছেন। তাঁকে সুস্থ ভাবে দেশে ফিরিয়ে আনতে ত্রিপোলির দূতাবাস থেকে সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”

লিবিয়ার জাতীয় তেল সংস্থা ও অস্ট্রিয়ার একটি তেল সংস্থার খনি অঞ্চল থেকে শুক্রবার ন’জনকে অপহরণ করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে অস্ট্রিয়াও একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। অস্ট্রিয়া এবং বাংলাদেশ এর জন্য আইএস জঙ্গিদের দায়ী করলেও লিবিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র চার্লস জশ বলেন, “এই ঘটনার জন্য আইএস-কে এখনই দায়ী করা সম্ভব নয়।” যদিও লিবিয়ার সেনাবাহিনীর মুখপাত্রর কথায় স্পষ্ট, আইএস-এর কায়দাতেই তেলখনি থেকে ন’জনকে অপহরণ করেছে জঙ্গিরা। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, আল-ঘানি তেলখনির এক কর্মী ওই ঘটনার সাক্ষী। তবে আট জনের মাথা কাটার দৃশ্য দেখে ঘটনাস্থলেই ওই সাক্ষীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ওই সেনা মুখপাত্র।

Advertisement

দুই সমান্তরাল সরকারের মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই দীর্ণ লিবিয়া। দেশে স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠায় দু’পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। মরক্কোয় সেই নিয়ে আলোচনাও চলছে।

সূত্রের খবর, গত এক মাসে লিবিয়ার বিভিন্ন তেলের খনিতে তাণ্ডব চালিয়েছে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যরা। দেশের ১১টি তেলখনি বন্ধ করে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে তারা। সেই দাবি জোরদার করতেই এই অপহরণ করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন