‘স্বনামধন্য’ হতে নতুন ফতোয়া কিম জং উনের

স্বনামেই ধন্য হতে চান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। রাজনীতির ময়দানে তো দূর অস্ত, তাঁর সমনামী কোনও মানুষের অস্তিত্বই দেশে আর থাকতে দিতে চাইছেন না তিনি। অগত্যা, চুলের ছাঁটের নিয়মাবলি প্রকাশ করার পর এ বার উত্তর কোরিয়ায় জারি করা হল নামকরণের ফতোয়া! বুধবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি একটি সংবাদ চ্যানেলে সম্প্রচারিত খবরে জানা গিয়েছে, কোরিয়ার এই সুপ্রিমোর নির্দেশ, তাঁর সমনামী ব্যক্তিরা যত দ্রুত সম্ভব পাল্টে ফেলুন তাঁদের পরিবারদত্ত নাম।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সোল শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:১৬
Share:

স্বনামেই ধন্য হতে চান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। রাজনীতির ময়দানে তো দূর অস্ত, তাঁর সমনামী কোনও মানুষের অস্তিত্বই দেশে আর থাকতে দিতে চাইছেন না তিনি। অগত্যা, চুলের ছাঁটের নিয়মাবলি প্রকাশ করার পর এ বার উত্তর কোরিয়ায় জারি করা হল নামকরণের ফতোয়া!

Advertisement

বুধবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি একটি সংবাদ চ্যানেলে সম্প্রচারিত খবরে জানা গিয়েছে, কোরিয়ার এই সুপ্রিমোর নির্দেশ, তাঁর সমনামী ব্যক্তিরা যত দ্রুত সম্ভব পাল্টে ফেলুন তাঁদের পরিবারদত্ত নাম। কিম জং উন নামের কোনও ব্যক্তি নাম বদলের পরে পুরনো নাম ব্যবহার তো করতে পারবেনই না, উল্টে কোনও কালে তিনি যে রাষ্ট্রনেতার সমনামী ছিলেন, সেই তথ্যও পাল্টে ফেলতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন কিম। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ওই খবরে সরকারি দফতরের এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পড়াও হয়েছে। সেখানে জানানো হয়, রীতিমতো আইন মেনে নাম পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন কিম। স্কুল-কলেজর শংসাপত্র এবং জন্মের শংসাপত্র থেকেও নাগরিকদের পুরনো নাম মুছে ফেলতে হবে। বলাই বাহুল্য, বাবা-মায়েরা সদ্যোজাতের নামকরণের সময়েও কিম জং উনের নাম ব্যবহার করতে পারবেন না। অনেক সময়ে নেতার প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি থেকে অনেকে তাঁদের পছন্দের নেতার নামেই সন্তানের নামকরণ করেন। তবে এ ক্ষেত্রে তা-ও নৈব নৈব চ।

উত্তর কোরিয়ায় এর আগেও নামকরণের স্বত্ব নিয়ে কামান দেগেছিলেন কিমের পূর্বসূরিরা। কিমের বাবা দ্বিতীয় কিম জং ও তাঁর বাবা তথা কিমের ঠাকুরদা দ্বিতীয় কিম সানও একাধিপত্য স্থাপনে নিজেদের নামের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে যাতে দেশ এবং বিশ্বের মানুষ শাসকদের নামই মনে রাখে সে জন্যই এই ফতোয়া জারি করেছিলেন তাঁরা।

Advertisement

কিম জং উন শুধু নাম নয়, ‘হেয়ার স্টাইল’ও সংরক্ষণের পথে পা বাড়িয়েছেন। আর সেই মর্মে পূর্বপুরুষদের থেকে খানিকটা এগিয়ে বর্তমান নেতা। ২০১৩ সালে চুলের ছাঁট নিয়েও একটি ফতোয়া জারি করেন কিম। ২৮ রকম চুলের ছাঁট সরকারি ভাবে বেছে দিয়ে কিম নির্দেশ দেন, তাঁর অনুমোদন করা চুলের ছাঁটের বাইরের কোনও কেশ-সজ্জা করতে পারবেন না নাগরিকেরা। সেই ২৮ রকম চুলের ছাঁটের মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি বিকল্প ছিল। আর বাকিগুলো ছিল মহিলাদের জন্য। বয়স্কদেরও চুল বাড়ানোর সীমা নির্ধারণ করে দেন কিম। যেমন, উত্তর কোরিয়ার পুরুষেরা দু’ইঞ্চির বেশি লম্বা চুল রাখতে পারবেন না। যদিও বৃদ্ধদের জন্য এক ইঞ্চির বাড়তি ছাড় দেওয়া হয়। বিবাহিত মহিলাদের চুল ছোট করে কাটার নির্দেশ দিলেও অবিবাহিত মহিলাদের লম্বা চুল রাখার স্বাধীনতা দেন তিনি। বিবৃতি জারি করে কিম জানিয়েছিলেন, চুল-বিধি না মানলে প্রয়োজনে নাপিতের দোকানেও পুলিশ পাঠানো হতে পারে!

কিম নিজে যদিও ওই ২৮টি বিকল্পের ধার ধারেননি। অবশ্য নিন্দুকেরা বলেন, নিজের চুলের স্বত্ব সংরক্ষণ করতেই এই চুলচেরা-ফতোয়া জারি করেন কিম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন