৫ এশীয়কে পুড়িয়ে খুন সৌদি আরবে

প্রথমে অকথ্য অত্যাচার এবং তার পর জীবন্ত অবস্থায় গায়ে আগুন লাগিয়ে ৫ এশীয় শ্রমিককে হত্যা করেছিল তারা। বুধবার সৌদি আরবের কাতিফ জেনারেল কোর্টে এমনই স্বীকারোক্তি করল তিন ব্যক্তি। পুলিশের ধারণা, নিহত পাঁচ জনই ভারতীয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৪ ০৮:২৫
Share:

প্রথমে অকথ্য অত্যাচার এবং তার পর জীবন্ত অবস্থায় গায়ে আগুন লাগিয়ে ৫ এশীয় শ্রমিককে হত্যা করেছিল তারা। বুধবার সৌদি আরবের কাতিফ জেনারেল কোর্টে এমনই স্বীকারোক্তি করল তিন ব্যক্তি। পুলিশের ধারণা, নিহত পাঁচ জনই ভারতীয়। আগেই এই খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ২৫ জনকে ধরেছিল পুলিশ। তবে মূল তিন অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি এল বুধবার। নিহত এবং অভিযুক্তদের কারওরই পরিচয় অবশ্য জানা যায়নি।

Advertisement

ঠিক কী হয়েছিল ২০১০ সালে? মূল অভিযুক্তদের এক জন জানিয়েছে, ঘটনার রাতে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল সে। ছিল তার এক বন্ধুও। রাত ১০টা দশটা নাগাদ কাতিফের সাফওয়া এলাকার একটি খামার থেকে তার আর এক বন্ধু তাকে ফোন করে খামারে পৌঁছতে বলে।

সেখানে পৌঁছলে তারা দেখে, পাঁচ জনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে আটকে রাখা হয়েছে। খামারের বন্ধুটি জানায়, তার মালিকের মেয়ে এবং অন্য মহিলাদের যৌন হেনস্থার অপরাধেই ওই পাঁচ ভারতীয় শ্রমিককে আটকে রাখা হয়েছে। তার পর তিন জন মিলে লাগোয়া ঘরে মদ এবং মাদক সেবন করতে চলে যায়।

Advertisement

অভিযুক্তের দাবি, এর কিছু পরেই চিৎকার শুরু করেন এক শ্রমিক। তাতে বিরক্ত হয়ে পাঁচ জনের উপরই অত্যাচার শুরু করে তিন অভিযুক্ত। তার পরই বন্দিদের জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার ফন্দি আসে তিন জনের মাথায়। গায়ে আগুন দেওয়ার কিছু ক্ষণ পর প্রায় আড়াই মিটার গর্তে দেহগুলি পুঁতে দেয় তারা।

চলতি মাসের গোড়ায় খামার পরিষ্কার করতে গিয়ে আচমকাই সেই দেহাবশেষ খুঁজে পান আলি হাবিব নামে এক ব্যক্তি। প্রথমে ভেবেছিলেন সেগুলি বোধহয় কোনও জন্তুর দেহাবশেষ হবে। কিন্তু পরে দেহাবশেষের পাশ থেকে অন্তর্বাস উদ্ধার হওয়ায় তিনি বুঝতে পারেন, সেগুলি মানুষের। সেখান থেকেই কিছু প্রমাণ পায় পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement