চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা করতে হবে অগ্রিম করের তৃতীয় কিস্তির টাকা। — প্রতীকী ছবি।
আর মাত্র তিন দিন। তার মধ্যে জমা করতে হবে অগ্রিম করের তৃতীয় কিস্তির টাকা। অন্যথায় করদাতাদের উপর নেমে আসবে জরিমানার খাঁড়া। বছরের শেষে এই মর্মে আমজনতাকে সতর্ক করল কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে আয়কর দফতর। সেখানে অগ্রিম করের তৃতীয় কিস্তির টাকা জমা করার শেষ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতি অর্থবর্ষ শেষে করদাতাদের মেটাতে হয় যাবতীয় আয়কর। উচ্চ রোজগেরেদের পক্ষে সেটা বেশ ব্যয়বহুল। আর তাই এককালীন টাকা নেওয়ার পাশাপাশি প্রতি তিন মাস অন্তর অগ্রিম কর প্রদানের সুবিধা চালু রেখেছে আয়কর দফতর। এর হিসাব প্রতিটি করদাতাকে তাঁর বর্তমান আয়ের নিরিখে করতে হবে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এ-হেন জমা হওয়া অগ্রিম কর পুরোটাই অনুমানভিত্তিক।
আয়কর আইন অনুযায়ী, সমস্ত করদাতা কিস্তিতে অগ্রিম কর জমা দেওয়ার সুযোগ পাবেন, এমনটা নয়। এ ব্যাপারে করের একটি নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। যাঁদের আনুমানিক আয়কর ওই সীমা অতিক্রম করবে, তাঁরা একটি আর্থিক বছরের প্রতি ত্রৈমাসিকে অগ্রিম কর জমা করতে পারবেন। এটা পুরোপুরি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আয়ের উপর নির্ভরশীল। সেই কারণে এই ব্যবস্থাটিকে ‘আয়ের নিরিখে অর্থ প্রদান’ বলে উল্লেখ করে আয়কর দফতর।
এ বছরের ১৫ ডিসেম্বর অগ্রিম কর জমা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ চেকপয়েন্ট। ওই তারিখের মধ্যে করদাতাদের চলতি আর্থিক বছরের (পড়ুন ২০২৫-’২৬) মোট আনুমানিক করের কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে। আর্থিক বিশ্লেষকদের দাবি, বেতনভোগী-সহ যে সমস্ত রোজগেরেদের ‘ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স’ বা টিডিএস কেটে নেওয়ার পরও আনুমানিক মোট করের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি হবে, তাঁরা অগ্রিম কর জমা করতে পারবেন। বাকিদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
তবে ষাটোর্ধ্বদের ক্ষেত্রে এই নিয়মে কিছুটা শীথিলতা রয়েছে। যে সমস্ত প্রবীণ নাগরিকের ব্যবসা বা পেশা থেকে কোনও আয় নেই, তাঁদের অগ্রিম কর জমা করতে হবে না। আয়কর আইন অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অগ্রিম কর জমা না করলে বা ভুলে গেলে, প্রাপ্ত অর্থের উপর সুদ চাপাবে কেন্দ্র। পাশাপাশি দিতে হবে অতিরিক্ত জরিমানা। আগামী বছর আয়কর রিটার্ন জমা করার সময় যাবতীয় কর মিটিয়ে দিলেও সুদ এবং জরিমানা থেকে বাঁচতে পারবেন না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি।