CBCS Structure

সিবিসিএস ব্যবস্থার অধীনে স্নাতকে ভর্তি হয়েছেন? জেনে নিন পছন্দের মিশ্র পাঠের খুঁটিনাটি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-র তরফে চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম (সিবিএস) শুরু হয়েছিল ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:১৮

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের সমস্ত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু রয়েছে ‘চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম’ (সিবিসিএস) বা পছন্দসই মিশ্র পাঠ। এই ব্যবস্থায় কলা, বিজ্ঞান, বাণিজ্য ইত্যাদি শাখা বিভাজনের গণ্ডি ছাপিয়ে যে কোনও বিষয় নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। আরও স্পষ্ট ভাবে বলা যেতে পারে, পড়ুয়ারা মূল বিষয়ের সঙ্গে পছন্দের অন্য যে-কোনও বিষয় পড়তে পারেন, তাতে নেই কোনও সীমাবদ্ধতা।

Advertisement

অর্থাৎ পাঠ্যক্রমে সাহিত্যের সঙ্গী হতে পারে জীববিদ্যা বা অর্থনীতি। সঙ্গীতের হাত ধরে পৌঁছে যাওয়া যাবে বায়োকেমিস্ট্রির ল্যাবে। কিন্তু একই বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি সেই বিষয়ের কোর্স না পড়ানো হয়, সে ক্ষেত্রে অন্যত্র ভর্তি হওয়ার ছাড়পত্রও থাকছে। সেমেস্টার পদ্ধতিতে মূল্যায়ন চলবে এবং কোনও বিষয়ে অকৃতকার্য হলে পরবর্তী সেমেস্টারে ক্লাসের পাশাপাশি, একসঙ্গে দু’টি বিষয়ে আবার পরীক্ষা দিতে পারবেন।

এর আগে ‘রেগুলার কোর্স সিস্টেম’-এর অধীনে নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে বিষয়বস্তু বেছে নিতে হত। বার্ষিক ব্যবস্থায় পরীক্ষাও চলত। বর্তমানে সমস্ত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিবিসিএস চালু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ‘কোর কোর্স’, ‘ইলেকটিভ কোর্স’-এর পাশাপাশি ‘স্কিল এনহ্যান্সমেন্ট কোর্স’ এবং ‘এবিলিটি এনহ্যান্সমেন্ট কোর্স’ করার সুযোগও থাকছে। প্রতিটি কোর্সের নিরিখে নির্দিষ্ট ক্রেডিট অর্জন করতে পারবেন পড়ুয়ারা।

সেই সমস্ত ক্রেডিটের ভিত্তিতে প্রতিটি সেমেস্টারে গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ (জিপিএ) এবং পঠনপাঠন সম্পূর্ণ হওয়ার পর কিউমুলেটিভ গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ (সিজিপিএ) দেওয়া হবে। মূলত জাতীয় শিক্ষানীতি এবং ন্যাশনাল ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্কের সঙ্গে তাল মেলাতেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

এরই সঙ্গে চালু হয়েছে ফোর ইয়ার আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম (এফওয়াইইউপি), যার মাধ্যমে যে কোনও সময়ে স্নাতক স্তরের কোর্স সম্পূর্ণ করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে চার বছরের কোর্সের পাশাপাশি, তিন বছরের ডিগ্রি কোর্স, দু’বছরের ডিপ্লোমা কিংবা এক বছরের ইউজি সার্টিফিকেট অর্জনের সুযোগ থাকছে। গোটা বিষয়টিকে ‘মাল্টিপল এক্সিট অ্যান্ড এন্ট্রি অপশন’ হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়। এতে গবেষণাভিত্তিক কাজ করার সুযোগও থাকে।

Advertisement
আরও পড়ুন