Air Pollution damaging Eyes

দূষণে কনজাঙ্কটিভাইটিসের সংক্রমণ বাড়ছে? বিষবাষ্পে ঝাপসা হতে পারে দৃষ্টিও, চোখ বাঁচাতে কী করবেন?

বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার গড় পরিমাণ (পিএম ২.৫)-এর মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে চোখে। শ্বাসজনিত সমস্যা, সর্দিকাশি, হাঁপানি এমনকি চোখের সমস্যাও বাড়ছে এই সময়ে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৫৭
Air pollution is damaging eyes, doctors report a sharp rise in dryness, redness linked to toxic air

বায়ু দূষণে কী কী ক্ষতি হচ্ছে চোখের? কী ভাবে সতর্ক থাকবেন? ফাইল চিত্র।

বায়ুদূষণ শুধু ফুসফুসের নয়, চোখেরও ক্ষতি করে। বাতাসে ভাসমান ক্ষতিকর রাসায়নিক ও ধূলিকণা চোখের জন্য খুবই খারাপ। সাম্প্রতি ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন’ (এনসিবিআই) এক গবেষণায় দাবি করেছে, বায়ুদূষণ যেমন হার্টের রোগ, ফুসফুসের ক্যানসারের জন্য দায়ী, তেমনি অন্ধত্বের কারণও হতে পারে দূষণই।

Advertisement

দিল্লি শুধু নয়, এই সময়টাতে সার্বিক ভাবেই বাতাসের গুণগত মান অনেক নেমে যায়। বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার গড় পরিমাণ (পিএম ২.৫)-এর মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে শরীরে। বাইরে বেশি ক্ষণ থাকলেই চোখে জ্বালা হয়, অনবরত চোখ দিয়ে জল পড়ে। অনেকের আবার কনজাঙ্কটিভাইটিসের সমস্যাও দেখা দেয়।

গবেষকেরা জানাচ্ছেন, বাতাসে ভাসমান দূষণবাহী কণায় ভর করে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বহুদূর। খুব বেশি ধুলোধোঁয়া আছে, এমন জায়গায় বেশি ক্ষণ থাকলে যেমন ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে, তেমনই ক্ষতি হতে পারে চোখের কনজাঙ্কটিভারও। বাতাসের কণায় ভর করে ভেসে বেড়ায় অনেক ভাইরাস, যার মধ্যে শক্তিশালী অ্যাডিনোভাইরাস চোখে সংক্রমণ ঘটায়। কর্নিয়ায় ছোট ছোট দানা তৈরি হয়। যার ফলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়, চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়তে থাকে, আঠালো তরল বার হয়, পিচুটি জমে যায় চোখে। একেই বলে কনজাঙ্কটিভাইটিস।

চোখ বাঁচাতে কী কী সতর্কতা নেবেন?

যদি মনে হয় চোখ কড়কড় করছে, বালি পড়েছে বা চোখ থেকে আঠালো তরল বার হচ্ছে, তা হলে দেরি না করে চক্ষু চিকিৎসককে দেখাতে হবে।

দূষণের জেরে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়, তাতে আরও সমস্যা বাড়ে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আই ড্রপ ব্যবহার করুন।

বাইরে বেরোলে সানগ্লাস পরতেই হবে। এতে কিছুটা হলেও দূষণ থেকে চোখ বাঁচানো যাবে।

রোজ এমন খাবার খান যাতে বেশি মাত্রায় ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আছে। সবুজ শাকসব্জি, বাদাম, মাছ, গাজর, ব্রোকলি খেতে হবে। ভিটামিন সি আছে এমন ফল বেশি করে খেতে হবে। কমলালেবু, পেয়ারা, পেঁপের মতো ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

চোখ লাল হলে, ফুলে গেলে, চুলকানি হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

Advertisement
আরও পড়ুন