Debina Bonnerjee on IVF

আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হওয়া এবং সমাজের কটাক্ষ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেত্রী দেবিনা

অভিনেত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি তেমনই একটি সামাজিক ব্যধি প্রসঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় বসেছিলেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৩ ২১:০১
Image of Debina Bonnerjee

সামাজিক ব্যধি প্রসঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় বসেছিলেন দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

নিজেদের জীবনের নানা রকম ঘটনা নিয়ে এখন অনেক বেশি খোলামেলা তারকারা। সমাজমাধ্যমে নিজেদের জীবনের ভালমন্দ নানা ঘটনা তুলে ধরেন তাঁরা। অনুরাগীদের থেকে আড়াল আবডাল করতে পছন্দ করেন না বরং কোনও কোনও ঘটনা সাধারণ মানুষের কাছে উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়। অভিনেত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি তেমনই একটি সামাজিক ব্যধি প্রসঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় বসেছিলেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে।

Advertisement

দুই সন্তানের মা অভিনেত্রী দেবিনা। দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের ক্ষেত্রে দেবিনাকে তেমন কোনও চিকিৎসার সাহায্য নিতে হয়নি। কিন্তু প্রথম সন্তান হয়েছিল ‘আইভিএফ’ পদ্ধতিতে। সেই পদ্ধতি যে খুব সহজ, সাবলীল এমন তো নয়। বরং সেই চিকিৎসা পদ্ধতি শরীর এবং মনের উপর কেমন প্রভাব ফেলে, সে সম্পর্কে অনেকের ধারণাই নেই। তবে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তানধারণ করতে না পারার গ্লানি, অপারগতা বয়ে বেড়াতে হয়। সমাজ চোখে আঙুল দিয়ে সেই তফাত দেখিয়ে দেয়। দেবিনা বলছেন, “আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানধারণ করা যে অন্যায়, তা আমি এই পদ্ধতি দিয়ে না গেলে জানতেই পারতাম না। বিভিন্ন সময়ে আমাকে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু আমি ভয় পাইনি। লোকে কী বলবেন, তা নিয়ে যদি আমরা ভয়ে গুটিয়ে থাকি, তা হলে সব কিছুই আমাদের হাতের বাইরে চলে যাবে।”

দেবিনা ‘আইভিএফ’-এর যাত্রাপথ প্রসঙ্গে বলেন, “প্রত্যেক মাসে শরীর এবং মনের উপর দিয়ে যে কত ঝড় বয়ে যায়, তা একমাত্র সেই মেয়েই জানে। কেউ পাশে থাকে না, যার সঙ্গে এই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে।” অনেকেই মনে করেন, সন্তানধারণ করতে না পারা মানেই বন্ধ্যাত্ব। এই ধারণা মনে পুষে রেখেই সমাজের অর্ধেক মানুষ মেয়েদের দিকে আঙুল তোলেন। দেবিনা বলেন, “আমি এমন অনেক মহিলার সঙ্গে কথা বলেছি। যাঁদের সন্তানধারণ করতে না পারার তেমন কোনও কারণই নেই। শারীরিক ভাবে যে তাঁদের তেমন কোনও সমস্যা ধরা পড়েছে, তা-ও নয়। কোনও কারণে স্বাভাবিক ভাবে সন্তানধারণ করতে পারছেন না। আমি মনে করি শরীর, মন, সময়, ধৈর্যের সঙ্গে ঈশ্বরের ইচ্ছেটাও এ ক্ষেত্রে ভীষণ ভাবে জরুরি।”

Advertisement
আরও পড়ুন