Gut Friendly tea

রোজের চা হয়ে উঠতে পারে অন্ত্রের ওষুধ! প্রিয় পানীয়কে স্বাস্থ্যকর বানাবেন কী ভাবে?

এ দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুধ চা। ঘন দুধে চায়ের পাতা ফুটিয়ে তাতে আদা, এলাচ মিশিয়ে তৈরি করা চায়ে এক চুমুক দিলে মন ভাল হয়ে যায় অনেকেরই। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে তা অ্যাসিডিটিও ডেকে আনে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৫৮

ছবি : সংগৃহীত।

চা-এর কাপ হাতে এ দেশে অনেক কিছু হতে পারে। সকালের ঘুমে জড়ানো চোখ খোলা থেকে ঝিমিয়ে পড়া মেজাজকে চাঙ্গা করা। আড্ডার ছুতো কিংবা একঘেয়েমি কাটানোর টি-ব্রেক। রাজনীতির তর্ক-বিতর্কের ‘চায়ে পে চর্চা’ বা ‘এক কাপ চায়ে তোমাকে চাই’...সবই হতে পারে চা খেতে খেতে। কিন্তু সেই ধোঁয়া ওঠা গরম চা মাঝেমধ্যে বিপদও ডেকে আনে।

Advertisement

এ দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুধ চা। ঘন দুধে চায়ের পাতা ফুটিয়ে তাতে আদা, এলাচ মিশিয়ে তৈরি করা চায়ে এক চুমুক দিলে মন ভাল হয়ে যায় অনেকেরই। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে তা অ্যাসিডিটিও ডেকে আনে। অম্বল, বুকজ্বালা, গ্যাসের সমস্যা নিয়ে তখন কঠিন অবস্থা হয়। ওষুধ খাওয়া ছাড়া গতি থাকে না। গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট সৌরভ শেঠি জানাচ্ছেন, চায়ের স্বাদের সঙ্গে আপোস না করেই অম্বলের সমস্যাকে বিদায় জানানো যাবে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি চা খেলে।

এমস প্রশিক্ষিত আমেরিকানিবাসী ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, বিশেষ পদ্ধতিতে তিনি নিজের বিকেলের চা-কে প্রদাহনাশক এবং অন্ত্র ভাল রাখার পানীয়তে পরিণত করেছেন। কী ভাবে?

১। চিকিৎসক বলছেন, প্রথমেই যেটা বাদ দিতে হবে, তা হল দুধ। কারণ তা থেকেই অ্যাসিডিটির ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। তুলনায় লাল চা খেলে অ্যাসিডিটি হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে। পাশাপাশি লাল চায়ে থাকা পলিফেনল জাতীয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও নিজের কাজ করতে পারে।

২। জল ফুটিয়ে তাতে চা পাতা ভিজতে দেওয়ার সময় কয়েকটি আদার টুকরো দিয়ে দিন। এটি হজমে সাহায্য করবে।

৩। ২-১টি ছোট এলাচ থেঁতো করে ওর মধ্যে দিন। এটি পেট ফাঁপার সমস্যা কমানোর পাশাপাশি, চিনি ছাড়াই চায়ে হালকা মিষ্টত্ব আনতে সাহায্য করবে।

৪। একটি লবঙ্গ ফেলে দিন চায়ে। লবঙ্গে রয়েছে ইউজিনল যা লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।

৫। কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পরে ওই চা সামান্য ঠান্ডা হতে দিন। খুব গরম অবস্থায় না খেয়ে ঈষদুষ্ণ চায়ে অল্প অল্প করে চুমুক দিয়ে খান। তাতে কাজ হবে বেশি।

Advertisement
আরও পড়ুন