ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে বাঁচতে কী কী সতর্কতা নেবেন? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ বাড়ছে আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের নানা জায়গায়। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সূত্রে খবর, আক্রান্তদের নমুনায় এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জার স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। করোনার প্রকোপ কমেছে মানেই যে, ভাইরাসজনিত জ্বরের উপদ্রব কমেছে, তা নয়। বরং খামখেয়ালি আবহাওয়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জা, সোয়াইন ফ্লু-এর ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত আতঙ্কের কারণই হয়ে উঠেছে।
‘ইনফ্লুয়েঞ্জা এ’ ও ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা বি’ দুই প্রজাতির ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে। খবর, গত বছর থেকেই এই দুই প্রজাতির ভাইরাস ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। আর এখন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণেই নতুন নতুন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। ভয় কি এখানেও রয়েছে?
মেডিসিনের চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার জানাচ্ছেন, এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জা ছোঁয়াচে। আক্রান্তের হাঁচি-কাশি, থুতু থেকে ছড়াতে পারে। সাধারণ উপসর্গগুলি অনেকটা ভাইরাল জ্বরের মতো। মাথা ব্যথা, নাক দিয়ে জল ঝরা, কাশি এবং গায়ে-হাতে ব্যথা। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে বা কোনও কোমর্বিডিটি থাকলে ঝুঁকি আরও বাড়বে। সে ক্ষেত্রে, শ্বাসকষ্ট দেখা দেবে। সময় মতো চিকিৎসা না করালে, শিশুদের ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রাণঘাতীও হতে পারে।
আমেরিকার মতো ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপট এখানে দেখা যায়নি এখনও। তবে সতর্ক হওয়া জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসক। ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ ভাইরাসেরই ‘এইচ ১ এন ১’ এবং ‘এইচ ৩ এন ২’ প্রজাতির সংক্রমণ হলে ‘অ্যাকিউট নিউমোনিয়া’ হবে। সে ক্ষেত্রে ফুসফুস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মারাত্মক শ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আরও কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যেমন, শ্বাস নিতে গেলে বুকে যন্ত্রণা হবে। হৃৎস্পন্দনের হার বাড়তে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শেই ওষুধ খাওয়া জরুরি। নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে হিতে বিপরীত হবে। জ্বর থাকলে হালকা প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। আর প্রচুর পরিমাণে জল ও তরল খাবার খেতে হবে। শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই ভাল। আগে থেকে টিকা নিয়ে রাখলে ভাল, তবে গায়ে জ্বর থাকলে বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরা পড়লে তখন প্রতিষেধক নেওয়া যাবে না।