Sneezing Before Leaving

বেরোনোর সময় হাঁচি হলে কি বিপদ নিশ্চিত? শুভ কাজ শুরুর আগে হাঁচি কি সত্যিই অশুভ? না কি সবটাই কুসংস্কার?

বেরোনোর সময় হাঁচি এলেই ঘটে বিপদ। বিশেষ করে, কোনও শুভ কাজে বেরোনোর আগে বা দূরে কোথাও যাওয়ার আগে হাঁচি এলেই বাড়ির বড়রা সেটিকে অশুভ ইঙ্গিত হিসাবে ধরে নেন।

Advertisement
বাক্‌সিদ্ধা গার্গী
শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:০৪
woman sneezing

ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।

হাঁচি একটি শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া। সেটি স্থান-কাল-পাত্র বুঝে আসে না। হাঁচি যে কোনও সময়ই আসতে পারে। এর কোনও নির্দিষ্ট সময় বা মরসুম নেই। কিন্তু বেরোনোর সময় হাঁচি এলেই ঘটে বিপদ। বিশেষ করে, কোনও শুভ কাজে বেরোনোর আগে বা দূরে কোথাও যাওয়ার আগে হাঁচি এলেই বাড়ির বড়রা সেটিকে অশুভ ইঙ্গিত হিসাবে ধরে নেন।

Advertisement

এমন নানা প্রচলিত ধারণা আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। রোজকার জীবনে আমাদের নানা কুসংস্কারের সম্মুখীন হতে হয়। সাধারণত বাড়ির বয়স্করাই এই সমস্ত কথা বলে থাকেন। বিড়ালের রাস্তা কাটা থেকে বেরোনোর সময় হাঁচি দেওয়া অশুভ, এমন নানা প্রকার বিশ্বাস আমাদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে। যদিও আদতে সেগুলির কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। তেমনই একটি প্রচলিত বিশ্বাস হল কোনও শুভ কাজে বেরোনোর আগে হাঁচি দেওয়া মানে খারাপ। কিন্তু শাস্ত্রে এই সম্বন্ধে কোনও ব্যাখ্যা রয়েছে কি?

বেরোনোর আগে হাঁচি দেওয়া কি সত্যিই খারাপ?

শাস্ত্রমতে, কেবল ঠিক বেরোনোর মুহূর্তে যদি কেউ হাঁচি দেন তা হলে সেটি অশুভ ইঙ্গিত। সেই মুহূর্তে কিছু ক্ষণ বসে যাওয়াই শ্রেয়। কিন্তু পর ক্ষণেই যদি আবার হাঁচি আসে তা হলে যাত্রা শুরু করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওই মুহূর্তে যদি অন্য কেউ হাঁচি দেয় তা হলেও যাত্রা শুরুতে কোনও সমস্যা নেই। এতে অশুভ প্রভাব কেটে যায়। তবে হাঁচি নিয়ে শাস্ত্রে কেবল যে অশুভ কথাই বলা রয়েছে তা নয়। শাস্ত্র জানাচ্ছে, রাতে খাবার পরে কেউ যদি হাঁচি দেন তা হলে বুঝতে হবে যে পরের দিন কোনও ভাল খবর পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও হাঁচি-কাশি খুবই সাধারণ ব্যাপার। ঘন ঘন হাঁচি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়। হাঁচি কখনও বলেকয়ে আসে না। যে কোনও সময় হাঁচি আসতেই পারে। বেরোনোর আগে হাঁচি দেওয়া যে সত্যিই অশুভ এ সংক্রান্ত কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।

Advertisement
আরও পড়ুন