—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বছর ছয়ের একটি মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় শোরগোল গুজরাতের রাজকোটে। অভিযোগ, মেয়েটিকে ধর্ষণ করতে না-পেরে তার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে মেয়েটি। অন্য দিকে, নানা জায়গায় খোঁজার পরে অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে পুলিশ।
পুলি়শ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটে গত ৪ ডিসেম্বরের। নির্যাতিতার বাবা-মা কৃষকের কাজ করেন। তাঁরা সে দিনও কাজে গিয়েছিলেন। ৬ বছরের মেয়েটি মাঠে খেলছিল। সেখান থেকে বছর ৩৫-এর এক যুবক তাকে তুলে নিয়ে যান। মেয়েটিকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান নির্জন স্থানে। সেখানে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
মেয়েটি প্রাণপণ পালানোর চেষ্টা করেছিল। অভিযুক্তের হাত থেকে নিজেকে ছাড়াতে হাত-পা ছোড়াছুড়ি করে চিৎকার করেছিল। আশপাশের লোকজন চলে আসবেন, এই আশঙ্কায় মেয়েটিকে ধর্ষণ করেননি অভিযুক্ত। কিন্তু রাগের চোটে লোহার রড নিয়ে শিশুটির যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
রক্তে ভেসে যায় চারপাশ। তীব্র যন্ত্রণায় ছটফটিয়ে কাঁদতে থাকে মেয়েটি। কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে স্থানীয় কয়েক জন গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হয় তার বাবা-মাকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাবালিকাকে ভর্তি করানো হয়েছে রাজকোটের একটি হাসপাতালে।
অভিযুক্তকে ধরতে ১০টি দল তৈরি করেছিল গুজরাত পুলিশ। প্রায় ১০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ৯-১০ জন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছিল। তার পরে মূল অভিযুক্তের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি পেশায় ঠিকাশ্রমিক। তবে তিনি গুজরাতের বাসিন্দা না কি ভিন্রাজ্যের, খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। গুজরাত পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি এবং তার পরিবার মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। রুজিরুটির সন্ধানে গুজরাতে এসেছিল ওই পরিবার। এখনও পর্যন্ত তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই ঘটনাটি ঘটিয়েছে এক জনই। দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তি ছিলেন না। তাঁকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাজির করানো হচ্ছে আদালতে।