Kannad Actress Ranya Rao Smuggling Case

এক এক বারে ১২ লক্ষ! দুবাই থেকে প্রতি কেজি সোনা পাচারের জন্য কত টাকা পেতেন কন্নড় অভিনেত্রী?

বুধবার সকালে দুবাই থেকে সোনা পাচারের অভিযোগে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন অভিনেত্রী। আগের প্রতি বার ছাড়া পেয়ে গেলেও এ যাত্রায় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের (ডিআরআই) হাতে ধরা পড়ে যান তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৫ ১৫:২৭
(বাঁ দিকে) অভিনেত্রী রান্যা রাও। উদ্ধার হওয়া সোনা (ডান দিকে)

(বাঁ দিকে) অভিনেত্রী রান্যা রাও। উদ্ধার হওয়া সোনা (ডান দিকে) — ফাইল চিত্র।

প্রতি কেজি সোনার জন্য ছিল এক লক্ষ টাকার বাঁধা ‘পারিশ্রমিক’! অর্থাৎ প্রতি বার দুবাই থেকে সোনা আনার জন্য প্রায় ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা আয় হত কন্নড় অভিনেত্রীর! এ বার ধৃত অভিনেত্রী রান্যা রাওকে জেরায় এমনই তথ্য হাতে পেলেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

জানা গিয়েছে, এই প্রথম বার নয়, এর আগেও দুবাই থেকে সোনা পাচার করেছেন তিনি। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে অনেক সোনা উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার মোট বাজারমূল্য ১৭ কোটি ৩০ লক্ষেরও বেশি। জানা গিয়েছে, প্রতি বার দুবাই যাওয়ার জন্য ‘পারিশ্রমিক’ পেতেন অভিনেত্রী। সোনার কেজিপিছু এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিল। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এক বারে ১২-১৩ কেজি সোনা আনতে পারলেই ১২-১৩ লক্ষ টাকা আয় হত রান্যার! এ ভাবে গত এক বছরে অন্তত ৩০ বার দুবাই যাওয়া-আসা করেছিলেন অভিনেত্রী। তাতেই আয় হয়েছিল কোটি কোটি টাকা।

বুধবার সকালে দুবাই থেকে সোনা পাচারের অভিযোগে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন এই কন্নড় অভিনেত্রী। আগের প্রতি বার ছাড়া পেয়ে গেলেও এ যাত্রায় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের (ডিআরআই) হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। শুরু হয় তল্লাশি। তাতেই রান্যার জামা এবং বেল্টের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে অন্তত ১৪ কেজি সোনা! প্রসঙ্গত, রান্যার বাবা রামচন্দ্র রাও এক জন আইপিএস অফিসার। বছরকয়েক আগে মাইসুরুতে একটি সোনা পাচারের মামলায় নাম জড়িয়েছিল তাঁরও। এ হেন বাবা যদিও মেয়ের কীর্তি শুনে অবাক!

বেশ কয়েক দিন ধরেই রান্যার উপর নজর ছিল গোয়েন্দাদের। গোপন সূত্রে খবর ছিল, অভিনেত্রী সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। সেই খবর পাওয়ামাত্রই তৎপর হন গোয়েন্দারা। রান্যার গতিবিধির উপর নজর রাখা শুরু হয়। তাতেই জানা যায়, গত দু’সপ্তাহের মধ্যে তিনি অন্তত চার বার দুবাই গিয়েছেন! অথচ গোয়েন্দারা খবর নিয়ে জানতে পারেন, দুবাইয়ে রান্যার পরিবারের কোনও সদস্য থাকেন না। তা হলে কেন এত ঘন ঘন দুবাই যেতেন তিনি? সেই সন্দেহের বশেই বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ওত পেতে ছিলেন ডিআরআইয়ের কর্তারাও। বিমানবন্দর থেকে রান্যা বার হওয়ার সময়ই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। সোনা পাচারের এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন