—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
জামিনে মুক্ত থাকাকালীন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ। সেই মামলায় নাম জড়ানোর পর বেশ কয়েক দিন গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন। অবশেষে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
রবিবার হরিয়ানার পুলিশের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, গত মাসে পটেলগর থানায় একটি ধর্ষণের মামলা রুজু হয়। অভিযোগপত্রে মনোজিৎ ওরফে মাঞ্জা নামে এক যুবকের নাম দেওয়া হয়। পুলিশের তথ্য ঘেঁটে জানান যায় ওই অভিযুক্ত খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত অপরাধী। জামিনে মুক্ত ছিলেন। গত ১১ জুন অভিযোগ জমা পড়ার পরই মনোজিতের খোঁজ শুরু করেন তদন্তকারীরা। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই বার বার আস্তানা পাল্টে গা ঢাকা দিচ্ছিলেন অভিযুক্ত। তাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। নেওয়া হয় প্রযুক্তির সাহায্যও। অবশেষে গত ৩ জুলাই মনোজিৎকে পাকড়াও করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, হরিয়ানায় ২০০৯ সালে একটি খুনের মামলায় নাম জড়িয়েছিল মনোজিৎ। তাঁর সহযোগী অরুণ দাবাস ওরফে বিট্টুকে খুন করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১২ সালে নিম্ন আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনায়। তবে পরে ২০১৫ সালে চণ্ডীগড় হাই কোর্ট মনোজিতের জামিন মঞ্জুর করে।
জামিনে জেলের বাইরে থাকার পরেও বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ মনোজিতের বিরুদ্ধে। তার মধ্যেই গত মাসে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আবার গ্রেফতার হলেন তিনি।