Skincare Tips

বডি লোশন থেকে ক্রিমে মেশানো হচ্ছে ‘হোহোবা অয়েল’, কী এই তেল, উপকারিতকাই বা কী?

প্রসাধনীর জগতে ক্রমশই চর্চিত হচ্ছে হোহোবা অয়েল। ময়েশ্চারাইজ়ার, ক্রিমে যোগ করা হচ্ছে এটি। কিন্তু কেন মাখবেন এই তেল? কারাই বা ব্যবহার করবেন?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৫ ১৮:২২
কেন মাখবেন হোহোবা অয়েল? কী ভাবেই বা মাখবেন?

কেন মাখবেন হোহোবা অয়েল? কী ভাবেই বা মাখবেন? ছবি: আনন্দবাজার ডট কম

ময়শ্চেরাইজ়ার হোক বা বডি লোশন কিংবা মুখ মাখার তেল, রকমারি প্রসাধনীর উপকরণে তালিকায় একটি নাম এখন মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে— হোহোবা অয়েল। সমাজমাধ্যমে এখন এই তেল নিয়েই চর্চা।

Advertisement

হোহোবা গাছের বীজ থেকে প্রাপ্ত এই তেল, গত কয়েক বছরে রূপচর্চায় দুনিয়ায় ক্রমশ পরিচিত হয়ে উঠেছে তার গুণাগুণের জন্য। ভারতীয় গাছ নয়, তবে এই বীজ থেকে পাওয়া তেলের গুণের কদর এখন এ দেশেও।

ত্বকের জন্য কেন ভাল হোহোবা অয়েল?

ময়েশ্চারাই‌জ়ার: ত্বকের রন্ধ্রমুখ না আটকেই এই তেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে। ত্বককে আর্দ্রতা জোগায়। ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে ‘সিবাম’ নিঃসৃত হয়। হোহোবা অয়েল অনেকটা এই সিবামের মতো। ভাল মানের তেল হিসেবে এর কদর। শুষ্ক বা সাধারণ ত্বকের জন্য এই তেল অত্যন্ত কার্যকর।

তেল নিঃসরণে সমতা বজায় রাখে: হোহোবা অয়েল যেহেতু সিবামের মতো কাজ করে, তাই এতে মুখ চটচটে হয়ে যায় না। ব্রণযুক্ত ত্বকেও এটি তেলের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ত্বকের পক্ষে আরামদায়ক: এতে থাকে প্রদাহনাশক উপাদান। ত্বকের ছোটখাটো সংক্রমণ দূর করার পাশাপাশি মুখের জ্বালা ভাব, চুলকানি কমাতেও সহায়ক হোহোবা অয়েল। তবে ত্বকের সোরিয়াসিস, এগজ়িমার মতো সংক্রমণ থাকলে এটি ব্যবহার করা যাবে কি না, চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেওয়া দরকার।

ব্রণ কমায়: হোহোবা অয়েলে প্রদাহনাশক এবং অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকায়, ব্রণযুক্ত ত্বকেও এটি ব্যবহার করা যায়। এই তেল ত্বকের রন্ধ্র আটকে দেয় না। ফলে ব্রণযুক্ত ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এটি বেছে নেওয়া যায়। ২০১২ সালে ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের ‘কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা সংক্রান্ত রিপোর্ট বলছে, হালকা ব্রণ থাকলে হোহোবা অয়েল যুক্ত ক্লে মাস্ক ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে।

ক্ষতের উপশম করে: এতে থাকা ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত ছোটখাটো সংক্রমণ প্রতিরোধে, ত্বকের ক্ষত সারাতেও এটি কার্যকর।

বলিরেখা দূর করে: ত্বকের অকালবার্ধক্য এড়াতে এবং বলিরেখা দূর করতেও এটি কাজের। নিয়মিত তেলটি মুখে মালিশ করলে ত্বক টানটান থাকে। ‘অক্সিডেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড সেলুলার লংজিভিটি’ নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার ফলাফল বলছে, উদ্ভিজ্জ তেলের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে।

রুক্ষ ভাব দূর করে: যাঁদের ত্বকের ধরন শুষ্ক, তাঁরা নিয়মিত তেলটি ব্যবহার করলে, শুষ্ক ভাব দূর হবে। ত্বক হবে উজ্জ্বল, মসৃণ।

কী ভাবে ব্যবহার করবেন?

শুষ্ক ত্বক: ত্বকের ধরন শুষ্ক হলে ময়েশ্চারাইজ়ার বা প্রতিদিন মাখার ক্রিমে ২-৩ ফোঁটা হোহোবা অয়েল মিশিয়ে নিন। সকাল এবং রাতে ময়েশ্চারাইজ়ার এবং ক্রিম মাখতে পারেন।

তৈলাক্ত ত্বক: তৈলাক্ত ত্বকে ২-৩ ফোঁটা হোহাবা অয়েল মাখতে হবে টোনার ব্যবহারের পরে। এটি ত্বকের সূক্ষ্ম ছিদ্র বন্ধ করে দেয় না এবং ত্বকে সিবামের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। সে কারণে, এটি ব্যবহারে মুখ তেলচিটে হয়ে যাওয়ার ভয় নেই।

Advertisement
আরও পড়ুন