ভূমি পেডনেকরের জলের ব্যবসা। ছবি: সংগৃহীত।
হিমালয়ের প্রাকৃতিক খনিজ সমৃদ্ধ জল। প্রাকৃতিক ‘মিনারেল ওয়াটার’ যাকে বলে। ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে সংগৃহীত। নতুন যুগে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর মানুষ উৎসের খোঁজ করতে আগ্রহী। কোন খাবার কোথা থেকে আসছে, কোন পানীয়ের কী উৎস— ইত্যাদি চর্চায় ইদানীং। সেখানে যদি হাতের কাছে এমন জল পাওয়া যায়, যা একেবারে প্রাকৃতিক খনিজে ভরপুর? সে জলে মিলবে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম-সহ নানা প্রয়োজনীয় খনিজ, যা শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। মজবুত করবে হাড় ও দাঁত। পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্ষমতাও উন্নত করবে। নিয়মিত এই ধরনের খনিজ জল পান করলে শরীরে জলের ঘাটতিও মেটাবে। কিন্তু সুদূর হিমালয় থেকে সে জল আনা সম্ভব নয় সকলের পক্ষে। ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যকর জল পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নিলেন বলিউড অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকর এবং তাঁর বোন সমীক্ষা পেডনেকর।
প্রিমিয়াম জলের বোতলের ব্র্যান্ড খুললেন দুই বোন। হিমাচল প্রদেশে নিজেদের ‘ওয়াটার প্লান্ট’ খুলেছেন তাঁরা। ৫০০ মিলি জলের বোতলের দাম ১৫০ টাকা এবং ৭৫০ মিলির দাম ২০০ টাকা। নায়িকার দাবি, প্যাকেজিং থেকে শুরু করে জলের উৎস ও গুণাগুণ, সব মিলিয়ে তাঁরা একেবারে নতুন পণ্য আনছেন বাজারে। প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর কাড়ছে এই জল। ক্ষতিকারক প্লাস্টিক বা কাচ ব্যবহার না করে পরিবেশবান্ধব কাগজের বোতল বানানো হয়েছে। ‘গেব্ল টপ পেপার’ দিয়ে প্যাকেজিং করা হয়েছে। তা ছাড়া বোতলের ছিপিতেও অভিনবত্ব আনা হয়েছে। সাধারণ প্লাস্টিকের ছিপির বদলে বায়ো ক্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে।
ভূমি বলছেন, ‘‘ভারতীয়েরা কত টাকা খরচ করে ‘এনার্জি ড্রিঙ্ক’ কিনছেন! তাই আমরা জলের মতো মৌলিক এবং অপরিহার্য পণ্য এনে দিচ্ছি। আর এই জল ভাল মানের। জলের ঠিক যতটা পরিমাণ হাইড্রেশন দেওয়ার কথা, ততটাই দেবে এই জল। প্রতি বার শিশুদের প্লাস্টিকের বোতল থেকে জল খেতে দেখলে মনে হয় কেড়ে নিয়ে বলি, কোরো না। বাধ্য না হলেও অনেকে প্লাস্টিকের বোতল বেছে নেন, যার মধ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক ভর্তি।’’
আর তাই পাহাড়ে প্লান্ট বসিয়ে, পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং তৈরি করে স্বাস্থ্যকর জল বাজারে আনার উদ্যোগ নিলেন পেডনেকর বোনেরা। ভবিষ্যতে স্কুলে, ক্যান্টিনে, বিমানবন্দরে, কলেজে, হোটেলে, রেস্তরাঁয় নিজের ব্র্যান্ডের জলের বোতল দেখতে চান বলি তারকা।