Exoplanet Discovery

১৫৪ আলোকবর্ষ দূর থেকে পৃথিবীকে হাতছানি? প্রতি মার্চে রহস্য-সঙ্কেত পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা!

নাসার ট্রানজ়িটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (টেস) নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে দূরের এক গ্রহ থেকে আলোর রহস্যময় সঙ্কেত পাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি সেই সঙ্কেতের রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৫ ১৭:১৩
১৫৪ আলোকবর্ষ দূরে নতুন গ্রহের হদিস পেলেন বিজ্ঞানীরা।

১৫৪ আলোকবর্ষ দূরে নতুন গ্রহের হদিস পেলেন বিজ্ঞানীরা। —ফাইল চিত্র।

১৫৪ আলোকবর্ষ দূরে রহস্যময় এক গ্রহের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। থেকে থেকে যেখান থেকে আসছে হাতছানি! রহস্যময় এক আলোর সঙ্কেত দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ওই গ্রহ থেকে। দীর্ঘ দিন সেই সঙ্কেত অনুসরণ করার পর গ্রহটির অস্তিত্ব আবিষ্কার করা গিয়েছে। মরোক্কোর পর্যবেক্ষণকেন্দ্র থেকে বিজ্ঞানী আব্দেরাহমেন সৌবকিওউয়ের নেতৃত্বাধীন একটি দল এই গ্রহ আবিষ্কার করেছে।

Advertisement

নতুন এই রহস্যময় গ্রহের নাম দেওয়া হয়েছে টিওআই-১৮৪৬বি। এটি আকারে পৃথিবীর প্রায় দ্বিগুণ। ভর পৃথিবীর চেয়ে চার গুণ বেশি। একে ‘সুপার আর্থ’ প্ল্যানেটও বলা হচ্ছে। প্রতি চার দিন অন্তর একটি আপাত শীতল লাল রঙা বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে এই গ্রহ।

নাসার ট্রানজ়িটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (টেস) এই গ্রহ থেকে পাঠানো আলোর সঙ্কেত প্রথম দেখতে পেয়েছিল। দীর্ঘ দিনের পর্যবেক্ষণ থেকে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন, এই আলোর সঙ্কেতে রয়েছে নির্দিষ্ট ধারা (প্যাটার্ন)। প্রতি মার্চ মাসে সঙ্কেতটি দেখতে পাওয়া যায়।

সাধারণত, দূরের কোনও গ্রহ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে নক্ষত্রের চারপাশের আলোর তারতম্যে চোখ রাখতে হয় বিজ্ঞানীদের। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। টিওআই-১৮৪৬বি সংশ্লিষ্ট নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করার সময়ে প্রতি বার তার আলো কিছুটা করে আবছা হয়ে যায়। এই সঙ্কেতই গ্রহের উপস্থিতির জানান দিয়েছে বিজ্ঞানীদের। আগামী দিনে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এই গ্রহটি পর্যবেক্ষণের ভাবনা রয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার।

টিওআই-১৮৪৬বি যে লাল বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে, তার তাপমাত্রা ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বলে বিজ্ঞানীদের অনুমান। কিন্তু পৃথিবী যে ভাবে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, এই গ্রহ সে ভাবে নক্ষত্রের চারপাশে ঘোরে না। এটির এক দিক সবসময়েই নক্ষত্রের দিকে মুখ করে থাকে। অন্য দিকটি সবসময় থাকে অন্ধকার। বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই উল্টো দিকে জলের অস্তিত্ব থাকলেও থাকতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন