Mohammad Rizwan

ধর্মের জন্য নয়, পাকিস্তানের নেতৃত্ব থেকে রিজ়ওয়ানকে সরানোর আসল কারণ প্রকাশ্যে, সমালোচিত পাক বোর্ড

পাকিস্তানের এক দিনের ক্রিকেটের অধিনায়ক পদ থেকে মহম্মদ রিজ়‌ওয়ানকে মঙ্গলবারই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ বার আসল কারণ প্রকাশ্যে এল, যার পর পাকিস্তান বোর্ডের উদ্দেশে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:৩৬
cricket

মহম্মদ রিজ়ওয়ান। — ফাইল চিত্র।

পাকিস্তানের এক দিনের ক্রিকেটের অধিনায়ক পদ থেকে মহম্মদ রিজ়‌ওয়ানকে মঙ্গলবারই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, ধর্মীয় কারণে তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বার আসল কারণ প্রকাশ্যে এল, যার পর পাকিস্তান বোর্ডের উদ্দেশে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

‘টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া’র একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, জুয়া সংস্থার হয়ে প্রচার করতে চাননি বলেই নেতৃত্ব থেকে সরানো হয়েছে রিজ়ওয়ানকে। পাক বোর্ডের এক সূত্র সেই ওয়েবসাইটে বলেছেন, “রিজ়ওয়ান বোর্ডকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল যে ও কোনও জুয়া সংস্থার হয়ে প্রচার করবে না। এই কারণেই ওকে নেতৃত্ব থেকে সরানো হয়েছে। পিসিবি যে ভাবে জুয়া সংস্থাগুলোর সঙ্গে চুক্তি করেছে তারও বিরোধিতা করেছিল রিজ়‌ওয়ান।”

উল্লেখ্য, এ বছর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের হয়ে খেলেছিলেন রিজ়ওয়ান। সেখানে জুয়া সংস্থার নাম লেখা জার্সি পরতে চাননি তিনি। এমন একটি জার্সি পরেছিলেন, যেখানে কোনও জুয়া সংস্থার নাম লেখা ছিল না।

কিছু দিন আগেই ভারত সরকার আইন এনে জুয়া সংস্থাগুলির প্রচার এবং যাবতীয় কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতীয় দলের প্রধান স্পনসর ছিল একটি জুয়া সংস্থাই। সেই সংস্থাকেও সরিয়ে দিয়েছে বোর্ড। ভবিষ্যতে আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত জুয়া সংস্থাগুলোকেও সরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক রশিদ লতিফ দাবি করেছিলেন, কোচ মাইক হেসন সম্পূর্ণ ধর্মীয় কারণে রিজ়ওয়ানকে সরিয়েছেন। খেলা সংক্রান্ত কারণে তাঁকে সরানো হয়নি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে লতিফ বলেছিলেন, “শুধুমাত্র প্যালেস্টাইনের পতাকা হাতে তুলে নেওয়ায় রিজ়ওয়ানকে সরিয়ে দেওয়া হল। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দেশে কি অন্য ধর্মের কাউকে অধিনায়ক করতে চাইছেন কোচ?”

লতিফের আরও দাবি ছিল, দলের মধ্যে রিজ়ওয়ান এমন একটি সংস্কৃতি তৈরি করতে চাইছিলেন যেখানে ইসলাম ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে। সেটাই নাকি পছন্দ হয়নি হেসনের। লতিফ বলেন, “হেসনই অধিনায়ক বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানের সাজঘরে রিজ়ওয়ান যে সংস্কৃতি নিয়ে আসতে চাইছিল সেটা ওর পছন্দ ছিল না। কেন সেটা কেউ বুঝতে পারছে না? হেসনের পাঁচ-ছ’জনের একটা দল রয়েছে। ওরা পাকিস্তানের সাজঘরের সংস্কৃতি বদলাতে চাইছে। কই আমাদের সময় তো এমন কিছু হয়নি।”

Advertisement
আরও পড়ুন