স্বাধীনতার আগে থেকেই রাজনীতিতে। ১৯৪০ সালে অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। ৫ বছর থেকেছেন জেলে। তার পর আরও চার বছর কেটেছে আত্মগোপনে। ১৯৬৪ সালে কমিউনিস্ট পার্টি ভাগ করে মার্ক্সবাদীরা স্বতন্ত্র দল তৈরি করলে অচ্যুতানন্দন জ্যোতি বসু, প্রমোদ দাশগুপ্ত, ওয়াইএস নাম্বুদিরিপাদদের সঙ্গে যুক্ত হন সিপিআইএম-এ। পার্টির প্রথম ৩২ সদস্যের একজন ছিলেন অচ্যুতানন্দন। পরে দলের নেতৃত্বেও এসেছেন। ১৯৮০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ছিলেন কেরলের রাজ্য সম্পাদক। সাত বার বিধানসভার সদস্য। ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৯ সালে স্ট্রোক হওয়ার পর থেকেই ঘরবন্দি। আমৃত্যু থেকেছেন তিরুঅনন্তপুরমের বাড়িতেই। ২৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রায় একমাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ২১ জুলাই মৃত্যু হয় ভারতের মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ভিএস অচ্যুতানন্দনের। তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার শেষ শ্রদ্ধার পর অন্তিমযাত্রা সম্পন্ন হবে ভিএস অচ্যুতানন্দনের।