ছবি: সংগৃহীত।
রাতের ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে ছুটে চলেছে সাদা রঙের একটি এসইউভি। সেই গাড়ির চাকার নীচ থেকে বেরিয়ে আসছে আগুনের স্ফুলিঙ্গ। হুঁশ নেই চালকের। ওই অবস্থাতেই গাড়িটি প্রবল গতিতে এগিয়ে চলেছে। বিপদের আশঙ্কায় কাঁটা হয়ে যান পথচলতি বাকি গাড়ির চালকেরা। হইচই পড়ে যায় সেখানে। বুধবার রাতে বেঙ্গালুরুর সুম্মনাহাল্লি উড়ালপুলের ঘটনা। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে এসইউভির চালক মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ভিডিয়োয় ধরা পড়েছে, এসইউভিটি দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে। গাড়ির নীচ থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ উড়তে শুরু করেছে। প্রথমে অন্য গাড়িচালকেরা আশঙ্কা করেছিলেন যে ইঞ্জিনে আগুন ধরে গিয়েছে। পরে গাড়িটিকে অতিক্রম করতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তাঁদের। গাড়িচালকেরা বুঝতে পারেন যে একটি বুলেট মোটরবাইক সামনে আটকে আছে। বার বার সতর্ক করার পরেও, মত্ত চালক প্রায় ৫০০ মিটার পর্যন্ত ওই অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে যান। ফলে ব্যস্ততম এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিয়োটি ‘কর্নাটক পোর্টফোলিয়ো’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্সে পোস্ট করা হয়েছে।
নয়ন্দাহল্লি জংশনের কাছে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা এসইউভিটিকে থামান। চালককে পুলিশের হাতে তুলে দেন। চালকের নিঃশ্বাস পরীক্ষার পর পুলিশ নিশ্চিত হয় যে চালক মদ্যপ ছিলেন। তুমাকুরু জেলার কুনিগালের বাসিন্দা শ্রীনিবাস কেভি নামের ওই চালককে পুলিশ ধাওয়া করার সময় তিনি গাড়ি এবং একটি বাইককেও ধাক্কা দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, রোহিত এস নামের এক বাইক আরোহীকে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন শ্রীনিবাস। রোহিতের অভিযোগ, এসইউভিটি তাঁর বুলেটটিকে প্রায় ৫০০ মিটার টেনে নিয়ে যায়। সৌভাগ্যবশত তিনি অক্ষত অবস্থায় বেঁচে যান। শ্রীনিবাস মদ্যপান করার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ধাক্কা লাগার পর তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি জানতেন না যে বাইকটি তাঁর গাড়িতে আটকে আছে। ক্ষুব্ধ জনতা তাঁকে মারধর করে এবং তার এসইউভি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে এবং ঘটনার তদন্ত করছে।