ChatGPT

চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মেনে টিকিট কেটে জিতলেন প্রায় দেড় কোটির লটারি! মহিলার দাবিতে শোরগোল নেটপাড়ায়

পাওয়ারবল ড্রতে খেলার জন্য চ্যাটজিপিটির কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন ক্যারি। কোন নম্বর বেছে নিলে লটারি জেতা সম্ভব তা চ্যাটজিপিটির কাছে জানতে চান তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:২৫
won crores at Lottery Powerball after turning to ChatGPT for help

ছবি: সংগৃহীত।

মহিলার ভাগ্য বদলে দিল চ্যাটজিপিটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে এক কোটি ৩২ লক্ষ টাকার মালিক হলেন রাতারাতি। পাওয়ার বল লটারিতে কোটি টাকা জেতার জন্য চ্যাটজিপিটির দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা ক্যারি এডওয়ার্ডস। গত আট সেপ্টেম্বরের একটি লটারির লাকি ড্র জিতেছেন ওই মহিলা।

Advertisement

সহজ থেকে জটিল প্রশ্নের উত্তর থেকে শুরু করে রোগনির্ণয় পর্যন্ত সমস্ত কিছুই চ্যাটজিপিটির নখদর্পণে। ‘নিউ ইয়র্ক পোস্টের’ প্রতিবেদন অনুযায়ী পাওয়ারবল ড্রতে খেলার জন্য চ্যাটজিপিটি-র কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন ক্যারি। কোন নম্বর বেছে নিলে লটারি জেতা সম্ভব তা চ্যাটজিপিটির কাছে জানতে চান তিনি। এআইয়ের বাছাই করা নম্বরের সিরিজ়ের প্রথম পাঁচটি সংখ্যার মধ্যে চারটি পাওয়ারবলের সঙ্গে মিলে যায়। এর ফলে প্রথমে ক্যারিকে ৫০ হাজার ডলার পুরস্কার দেওয়া হয়।

টিকিট নেওয়ার সময় ক্যারি মজা করে চ্যাটজিপিটিকে বলেছিলেন, “আমার সঙ্গে কথা বলো, আমায় কিছু নম্বরের পরামর্শ দাও।” চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মেনে নম্বর মিলিয়ে টিকিট কিনেছিলেন ক্যারি। তিনি অতিরিক্ত এক ডলার দিয়ে ‘পাওয়ার প্লে’ নামের বিকল্পটি বেছে নিয়েছিলেন। ফলে তাঁর ৫০ হাজার ডলারের পুরস্কারমূল্য বেড়ে তিন গুণ হয়ে যায়। ১০ সেপ্টেম্বর তিনি একটি সভায় বসেছিলেন। সেই সময় তাঁর ফোনে মেসেজ আসে যে তিনি লটারিতে এক কোটির বেশি অর্থমূল্য জিতেছেন।

প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন এটি ভুয়ো কোনও মেসেজ। পরে যাচাই করে তিনি জানতে পারেন সত্যি কোটি টাকার লটারির বিজেতা হয়েছেন তিনি। ক্যারি তাঁর পুরস্কারের অর্থ দু’ভাগে দান করেছেন। একটি অংশ অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিজেনারেশন (এএফটিডি) নামক একটি সংস্থার গবেষণায় দিয়েছেন। কারণ তাঁর স্বামী ২০২৪ সালে মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় মারা গিয়েছিলেন। সেই কারণে তিনি এই সংস্থায় অনুদান করেছিলেন। আর একটি অংশ শ্যালম ফার্মস নামে একটি অসরকারি সংস্থায় দান করা হয়েছে। এই সংস্থাটি ক্ষুধার্ত মানুষদের সহায়তা করার জন্য কাজ করে থাকে। মহিলার এই দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেটমাধ্যমে। অনেকে বিষয়টি প্রচারে আসার স্টান্ট বলে মনে করছেন। আবার অনেকে মনে করছেন কৃত্রিম মেধার যুগে এই ঘটনা অসম্ভব নয়।

Advertisement
আরও পড়ুন