Bizarre

থেমে যায় হৃৎস্পন্দন, ‘মারা গিয়েও’ বেঁচে ওঠেন বৃদ্ধ! যমালয়ের চৌকাঠ থেকে ফিরে মারা যান ১৫ দিন পর

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে পেশাজীবনের এক অদ্ভুত কাহিনি শুনিয়েছেন ডেক্সটার হাওয়ার্ড নামের এক নার্স। তাঁর দাবি, এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পরদিন বেঁচে ওঠেন। তার ১৫ দিনের মাথায় মৃত্যু হয় সেই রোগীর।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৫৮
An old man declared dead, only to revive hours later at a funeral

ছবি: সংগৃহীত।

দেহ থেকে প্রাণ বেরিয়ে যাওয়ার পর অনেকেই আবার জীবিত হওয়ার দাবি করেন। এমন দাবি বিরলও নয়। যদিও এই ধরনের দাবিগুলি বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝেই অবস্থান করে। মৃত্যুর পরে কী ঘটে তা নিয়ে অনেক কাহিনি প্রচারিত হলেও সত্যটি অজানাই রয়ে গিয়েছে। তেমনই এক পুরনো অভিজ্ঞতার কথা সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন ডেক্সটার হাওয়ার্ড নামের এক পেশাদার নার্স। তাঁর দাবি, এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পরদিন বেঁচে ওঠেন। আবার তার ১৫ দিনের মাথায় মৃত্যু হয় সেই রোগীর।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে ডেক্সটার জানান, ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ৭৮ বছর বয়সি কৃষক ওয়াল্টার উইলিয়ামস হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর নাড়ি পরীক্ষা করে ডেক্সটার দেখেন হৃৎস্পন্দন বন্ধ। মৃত্যুর খবর পেয়ে ওয়াল্টারের পরিবার শোকে ভেঙে পড়ে। মৃত্যুর পরবর্তী নিয়মাবলি শেষ করার পর মৃতদেহ একটি ব্যাগে ভরে শেষকৃত্যের জন্য অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া গৃহে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত প্রায় সাড়ে ১০টায় ব্যাগটি চেন আটকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে, মৃতদেহ সংরক্ষণের কাজ শুরু করতে গিয়ে অন্ত্যেষ্টিকর্মীরা ব্যাগে নড়াচড়া লক্ষ করেন।

ওয়াল্টার তাঁর পা নাড়াতে শুরু করেন এবং মৃদু শ্বাস নিতে শুরু করেন। কর্মীরা হতবাক হয়ে যান। দ্রুত একটি অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হয়। প্যারামেডিকেরা এসে জানান যে ওয়াল্টারের হৃৎস্পন্দন ফিরে এসেছে। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা জানার চেষ্টা করেন, ‘মৃত’ এক ব্যক্তি কী ভাবে জীবিত হয়ে উঠলেন।

চিকিৎসকদের ধারণা, ওয়াল্টারের হৃৎপিণ্ডে বসানো পেসমেকার বা ডিফিব্রিলেটর হয়তো সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা পর তা পুনরায় চালু হয়ে গিয়েছিল। ডেক্সটার বলেন, ‘‘২০ বছরের অভিজ্ঞতায় প্রথম এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলাম।’’ নার্স জানিয়েছেন, ওয়াল্টারকে ফিরে পেয়ে পরিবারের সকলেই খুশি ছিলেন। ওয়াল্টার নিজে পরিবারের সদস্যদের জানান, ওই সময়টুকু যেন তিনি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার ১৫ দিনের মাথায় স্বাভাবিক ভাবেই মারা যান ওয়াল্টার।

চিকিৎসকেরা এই ঘটনাটিকে ‘লাজ়ারাস সিনড্রোম’-এর উদাহরণ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। এটি একটি বিরল অবস্থা যেখানে কার্ডিয়োপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) ব্যর্থ হওয়ার পরে রক্ত ​​সঞ্চালন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ফিরে আসে। ১৯৮২ সাল থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিশ্বব্যাপী ৩৮টিরও বেশি এই ধরনের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। যদিও সঠিক কারণ এখনও অজানা।

Advertisement
আরও পড়ুন