Viral Video

গাড়ির নম্বরপ্লেট থেকে নাম-ধাম খুঁজে ইনস্টাগ্রামে ‘ভয়ঙ্কর’ মেসেজ! পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে সরব তরুণী

শিবাঙ্গী জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে তাঁর একটি ইনস্টাগ্রাম রিলে সন্দেহজনক মন্তব্য করেন এক ব্যবহারকারী। এর পর ওই ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীকে আলাদা করে মেসেজ করেন। জিজ্ঞাসা করেন, তাঁকে কী ভাবে চেনেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৩৫
Gurugram woman claims police officer texted her in Instagram by finding whereabouts using car number

ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

গাড়ির নম্বরপ্লেট থেকে প্রথমে নাম-ধাম খুঁজে বার করেন। পরে ইনস্টাগ্রাম আইডি খুঁজে বার করে তরুণীকে ‘ভয়ঙ্কর’ বার্তা পাঠানোর অভিযোগ উঠল এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে। সমাজমাধ্যমে বিষয়স্রষ্টা (কন্টেন্ট ক্রিয়েটর) তরুণী শিবাঙ্গী পেসওয়ানির অভিযোগ, ওই পুলিশ আধিকারিক তাঁর পদের অপব্যবহার করেছেন। পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে গাড়ির নম্বরপ্লেট ব্যবহার করে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য খুঁজে বার করে বিরক্ত করারও অভিযোগও তুলেছেন শিবাঙ্গী।

Advertisement

শিবাঙ্গী জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে তাঁর একটি ইনস্টাগ্রাম রিলে সন্দেহজনক মন্তব্য করেন এক ব্যবহারকারী। এর পর ওই ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীকে আলাদা করে মেসেজ করেন শিবাঙ্গী। জিজ্ঞাসা করেন, তাঁকে কী ভাবে চেনেন তিনি। তখন ওই ব্যবহারকারী নাকি জানান, তিনি এক জন পুলিশ আধিকারিক। শিবাঙ্গীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি। যদিও ওই ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীকে বিশেষ পাত্তা দেননি শিবাঙ্গী।

বিষয়স্রষ্টা তরুণীর অভিযোগ, পাত্তা না পেয়ে ওই ব্যবহারকারী একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন এবং তাঁকে ক্রমাগত মেসেজ করে বিরক্ত করতে থাকেন। এর পরেই সমাজের রক্ষক হিসাবে পরিচিত পুলিশের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন শিবাঙ্গী।

পুরো বিষয়টি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ্যে এনেছেন শিবাঙ্গী। তিনি লিখেছেন, “ঘটনাটি শুধু ভয়ঙ্কর নয়, বিপজ্জনকও। কয়েক দিন আগে আমি আমার ইনস্টাগ্রাম রিলে একটি সন্দেহজনক মন্তব্য লক্ষ করি। এক জন ব্যক্তি কেবল আমার গাড়ি, অবস্থান এবং গতিবিধি ট্র্যাক করে আমার ইনস্টা আইডি বার করেন। প্রথমে তিনি নিজেকে এক জন মহিলা পুলিশ বলে দাবি করেন। পরে স্বীকার করেন যে তিনি পুরুষ। এর পর ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আমাকে অযাচিত এবং বিরক্তিকর মেসেজ পাঠাতে থাকেন। এমনকি, আমার রিলগুলি দেখার পরে আমার বয়স নিয়েও মন্তব্য করেন। এটি হয়রানি এবং পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়।”

শিবাঙ্গী ইনস্টাগ্রামে আরও বলেন, ‘‘আমাদের রক্ষা করার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কী ভাবে মহিলাদের হয়রানি করে তা দেখানোর জন্যই আমি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছি। এ ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না। এই ধরনের আচরণ বন্ধ করার একমাত্র উপায় বিষয়গুলি প্রকাশ্যে আনা। আমি ইতিমধ্যেই একটি অভিযোগ দায়ের করেছি এবং বিষয়টি তদন্তাধীন।’’ শিবাঙ্গীর ওই বার্তার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম

শিবাঙ্গীর সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই হইচই ফেলেছে নেটপাড়ায়। ক্ষোভ এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকেরা। এক নেটাগরিক লিখেছেন, “অবিশ্বাস্য। কত সাহস এদের। আপনি অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং এটি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন বলে খুবই খুশি হলাম।” অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘যখন আপনার প্রয়োজন হয় না তখনও গুরুগ্রাম পুলিশ চলে আসে। পুলিশ আধিকারিক যা করেছেন তা নিন্দনীয়। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’’

Advertisement
আরও পড়ুন