Gurugram Bizarre Incident

দেহ ‘শনাক্ত’ হয়েছিল, শুরু হয়েছিল ‘খুনের’ তদন্ত, শেষকৃত্যও হয়েছিল, তার এক দিন পরেই ফিরলেন ‘মৃত’

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পূজন পেশায় ঠিকাদার। স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে নিয়ে গুরুগ্রামের সেক্টর-৩৬-এর মোহাম্মদপুর ঝারসায় থাকতেন। সম্প্রতি নিখোঁজ হয়ে যান তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৪০
Man returns home after family performs last rites assuming he was dead in Gurugram

ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

খুন হয়েছেন ভেবে শেষকৃত্য করে ফেলেছিল পরিবার। তার এক দিন পর জীবন্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরলেন যুবক! চাঞ্চল্যকর সেই ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে। ৪৭ বছর বয়সি ওই যুবকের নাম পূজন প্রসাদ। পূজনের পরিবারের বিশ্বাস ছিল, খুন হয়েছেন তিনি। পুলিশকেও তেমনটাই জানিয়েছিল তারা। সেইমতো পরিবারের তরফে পূজনের শেষকৃত্য করার পরের দিনই খোঁজ মেলে তাঁর। চমকে যান পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়েরা। পুলিশও হতবাক হয়ে গিয়েছে সেই ঘটনায়।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পূজন পেশায় ঠিকাদার। স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে নিয়ে গুরুগ্রামের সেক্টর-৩৬-এর মোহাম্মদপুর ঝারসায় থাকতেন। সম্প্রতি নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। এর পর গত ১ সেপ্টেম্বর পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় তাঁর নিখোঁজ হওয়া নিয়ে। পুলিশ জানায়, ২৮ অগস্ট পূজনদের বাড়ি থেকে ১.৫ কিলোমিটার দূরে পরিত্যক্ত গুদামের মধ্যে থেকে একটি গলাকাটা লাশ উদ্ধার হয়েছে। দেহ পূজনের কি না তা শনাক্ত করতে তাঁর পরিবারের সদস্যদের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। পূজনের পুত্র সন্দীপ দেহ শনাক্ত করে। জানায়, ওই মৃতদেহ তার বাবার। কান্নায় ভেঙে পড়ে তার পরিবার। পুলিশও খুনের তদন্ত শুরু করে। এর মধ্যে মঙ্গলবার পূজনের শেষকৃত্যও সম্পন্ন হয়। কিন্তু তার পরদিনই জীবন্ত অবস্থায় দেখা যায় পূজনকে।

জানা গিয়েছে, যমুনায় চিতাভস্ম বিসর্জনের পর তাঁর পুত্রেরা যখন ফিরছিল, তখন তাদের মামা রাহুল প্রসাদ ফোন করেন। জানান, পূজনকে তিনি রাস্তায় দেখেছেন। তাঁকে বাড়িও নিয়ে আসেন রাহুল। চমকে যান পরিবারের সদস্যেরা। তিন পুত্র বাড়ি ফিরে দেখে, বহাল তবিয়তে বাড়ির বিছানায় বসে রয়েছেন তিনি। পুরো বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমকে সন্দীপ বলেছে, ‘‘আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, ওটা আমার বাবার দেহ। লাশের ডান পায়েও আমার বাবার পায়ের মতো আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘটনাচক্রে, মৃতদেহের গায়েও বাবার পোশাকের মতো একই রকম দেখতে একটি শার্ট এবং প্যান্ট ছিল। আর তা দেখেই আমার মনে হয়েছিল যে, দেহ আমার বাবার।’’

অন্য দিকে পূজনের স্ত্রী লক্ষ্মীর কথায়, ‘‘আমার স্বামী প্রায়ই মদ খেয়ে নিখোঁজ থাকত। এ বার বেশ কিছু দিন বাড়ি না ফেরায় চিন্তা হয়। আমার মনে হয়েছিল স্বামীকে চিরতরে হারিয়েছি। তাঁকে জীবিত দেখা আমার নিজের জন্য দ্বিতীয় জীবন পাওয়ার মতো।’’

জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় হতবাক হয়েছে পুলিশও। তারা যে গলাকাটা দেহ উদ্ধার করেছিল তা কার, সেই নিয়ে নতুন করে খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। পুরো বিষয়টিকে খতিয়ে দেখতে বিস্তারিত ভাবে তদন্তও শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement
আরও পড়ুন