Diamond in Madhya Pradesh

হিরের খনি পাল্টে দিল ভাগ্য, ২০ দিন ধরে নাগাড়ে মাটি খুঁড়ে মিলল অমূল্য রতন! রাতারাতি অর্ধ কোটির মালিক সতীশ-সাজিদ

সতীশ একটি মাংসের দোকান চালান। সাজিদ একটি ফলের দোকানে কাজ করেন। সেই আয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছিল দুই যুবকের। ভাগ‌্যের সন্ধানে তাঁরা পান্নার কৃষ্ণ কল্যাণপুর এলাকায় একটি ছোট খনি লিজ় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:২১
Two friends uncovered a 15.34-carat diamond

হিরের সন্ধানে জমি লিজ় নিয়েছিলেন দুই বন্ধু। ভেবেছিলেন বহুমূল্য পাথর দিয়েই সংসারের হাল ফেরাবেন। বোনের বিয়ে দেবেন। মাত্র ২০ দিনের মধ্যেই স্বপ্নপূরণ হল মধ্যপ্রদেশের পান্নার রানিগঞ্জের বাসিন্দা দুই তরুণের। দুই বন্ধু ২৪ বছরের সতীশ খটিক এবং ২৩ বছর বয়সি সাজিদ মহম্মদ একটি খনি লিজ় নিয়েছিলেন। এই জুটি খুঁজে পেয়েছেন ১৫.৩৪ ক্যারাটের একটি হিরে। এর আনুমানিক মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা।

Advertisement

সতীশ একটি মাংসের দোকান চালান। সাজিদ একটি ফলের দোকানে কাজ করেন। সেই আয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছিল দুই যুবকের। ভাগ‌্যের সন্ধানে তাঁরা পান্নার কৃষ্ণ কল্যাণপুর এলাকায় একটি ছোট খনি লিজ় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বড় হিরে পাওয়ার প্রত্যাশা না করলেও ছোট আকারের হিরে পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় সতীশ ও সাজিদের। ধুলোর মধ্যে থেকে তাঁরা কুড়িয়ে পান সাধারণ একটি পাথর। সূর্যের আলোর সামনে সে পাথর মেলে ধরতেই ধারণা পাল্টে যায় দুই তরুণের।

তাঁদের হাতে ঝলমল করছিল ১৫.৩৪ ক্যারাটের একটি অসাধারণ হিরে। বহু খননকারীই বছরের পর পর বছর চেষ্টা করেও খুঁজে পান না। হিরে পেয়ে প্রথমে আনন্দে উদ্বেল হয়ে পড়েছিলেন সতীশ ও সাজিদ। পরে উত্তেজনা প্রশমিত হলে তাঁরা হিরেটি নিয়ে পান্না ডায়মন্ড অফিসে নিয়ে যান। সেখানে ডায়মন্ড অফিসার রবি পটেল জানান, পাথরটির মূল্য ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি। এটিকে নিলামে চড়ানো হবে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। সাজিদের দাদু ও বাবাও খনির লিজ় নিয়ে হিরে খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন। সাজিদের মতো সাফল্যের মুখ কেউই দেখেননি তাঁরা।

বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের পান্না হিরের শহর নামে পরিচিত। বহু মানুষের ভাগ্য রাতারাতি বদলে দিয়েছে হিরের খনিগুলি। গত মাসে ছ’জন কৃষক পাঁচটি হিরে আবিষ্কার করেছিলেন। এর মধ্যে তিনটির মূল্য ছিল প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। পান্নায় হিরের অফিসে এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি হিরে জমা করা হয়েছে। এই জেলায় ১২ লক্ষ ক্যারাটের হিরে মজুত রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। আট মিটার লম্বা একটি খনির প্লট বার্ষিক ২০০ টাকায় লিজ় দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন