Mithun Chakraborty at Durgapur

‘তৈরি থাকুন, এ বার আমি ময়দানে নামছি’! মোদীর সভা থেকে তারিখ দিয়ে ঘোষণা মিঠুনের, নিশানায় মমতার পুলিশ

বিজেপির পরিবর্তন সংকল্প সভা থেকে মিঠুনের সংকল্প, ‘‘এ বার আমাদের জীবন-মরণের লড়াই। আমাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশীর্বাদ রয়েছে। আমি থাকব। আপনারা থাকবেন। সকলে মিলে লড়ব।’’

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৫ ১৬:৩০
দুর্গাপুরে মিঠুন চক্রবর্তী।

দুর্গাপুরে মিঠুন চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র।

এই বার না হলে আর কখনও নয়। বাংলায় বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে শীঘ্রই তিনি ময়দানে নামছেন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাস্থল থেকে এ কথাই জানালেন অভিনেতা-নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। গত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিঠুনের মন্তব্য, ‘‘এটাই আমাদের শেষ লড়াই...। মরণপণ লড়াই।’’

Advertisement

দুর্গাপুর নেহরু স্টেডিয়ামে বিজেপির পরিবর্তন সংকল্প সভা থেকে মিঠুনের সংকল্প, ‘‘এ বার আমাদের জীবন-মরণের লড়াই। আমাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশীর্বাদ রয়েছে। আমি থাকব। আপনারা থাকবেন। সকলে মিলে লড়ব। যে ভাবেই হোক এই ইলেকশন (বিধানসভা নির্বাচন) জিততেই হবে। এ ছাড়া আর কী নিয়ে কথা বলব?’’ সেই সঙ্গে মিঠুন নিশানা করলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে।

মঞ্চে ভাষণ দিতে উঠেই প্রথমে চোখ থেকে রোদচশমা খুলে ফেলেন মিঠুন। অভিনেতা-রাজনীতিবিদ তার পর বলেন, ‘‘আমাদের এ বারের লড়াই শেষ লড়াই। এটা মাথায় রেখে মাঠে নামতে হবে।’’ শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং নারী নিরাপত্তা নিয়ে খোঁচা দেন মিঠুন। তিনি বলেন, ‘‘কী নিয়ে কথা বলব? দুর্নীতি? দুর্নীতি তো ভরে ভরে রয়েছে। একটা ফাঁকও নেই। মা-বোনেদের ইজ্জত নিয়ে কথা বলব? সেখানেও কথা বলার উপায় নেই। আমি পশ্চিমবঙ্গের ছেলে। পশ্চিমবঙ্গের মা-বোন আমার মা-বোন। আমি রাজনীতি করি না। মানুষ-নীতি করি। সে জন্য বার বার পশ্চিমবঙ্গে ছুটে আসি।’’ অভিনেতা-নেতা আরও বলেন ‘‘এ বার মাঠে নেমেছি একেবারে তৈরি হয়ে। ২৩-২৪ তারিখ থেকে পুরো মাঠে নামব। আপনাদের সঙ্গে থাকব। আপনাদের প্রবলেম (সমস্যা) জানব। মাঠে নেমে একসঙ্গে লড়াই করব। এই লড়াই বহু দিন মনে রাখবে পশ্চিমবঙ্গ। বিজেপি হেরে যাওয়ার পাত্র নয়। শুধু পুলিশকে একটু নিরপেক্ষ হওয়ার কথা বলুন। তার পর দেখুন বিজেপি কী করতে পারে।’’

সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে মিঠুন বলেন, ‘‘আজ সমস্বরে যে আওয়াজ সকলে তুলেছেন, তা যেন সর্বদা আমার সঙ্গে থাকে। আমি ‘কম্প্রোমাইজ় পলিটিক্স’ করি না। জীবনে কখনও কম্প্রোমাইজ়ের রাজনীতি করিনি। গায়ের জোর আমারও আছে। তবে কখনও কারও উপর খাটাইনি। কাউকে বলি না যে, ‘আপনাকে মারব, ধরব।’ কিন্তু এটা ভাববেন না যে, আমি করতে পারি না। আমরা ভিতু নই। শুধু পুলিশকে বলুন, ‘তোমরা নিরপেক্ষ হয়ে যাও।’’’ ‘মহাগুরু’ মিঠুনের সংযোজন, ‘‘তৈরি থাকুন। আমি ময়দানে নামছি। বুক ফুলিয়ে নামব। গুলি চালালে চালাও। পিছন থেকে আক্রমণ কোরো না। হিম্মত থাকলে সামনে থেকে গুলি করো।’’

২০২১ সালের ৭ মার্চ ব্রিগেডে বিজেপির সভামঞ্চে পদ্ম-পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন মিঠুন। পদ্ম-পতাকা, উত্তরীয় পরিয়ে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং দিলীপ ঘোষ। বিজেপির হয়ে নির্বাচনী প্রচারে সারা বাংলা ঘুরে প্রচার করেছিলেন। সভামঞ্চ থেকে তাঁর একাধিক মন্তব্যে বিতর্ক হয়েছে। তবে ’২১-এর বিধানসভা ভোটে শেষ পর্যন্ত পর্যদুস্ত হতে হয় বিজেপিকে।

Advertisement
আরও পড়ুন