Tangra Murder Case

ট্যাংরার দে পরিবারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বড়ভাই প্রণয়কে গ্রেফতার করল পুলিশ

গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভোরে অভিষিক্তার মোড়ে মেট্রোরেলের একটি স্তম্ভে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি। গাড়িতে সওয়ার প্রণয়, প্রসূন এবং প্রণয়ের পুত্র প্রতীপ গুরুতর আহত হন। তাঁদের বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৫ ১৯:২০
Pranay Dey arrested on Saturday from NRS hospital over Tangra case

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ট্যাংরাকাণ্ডে সেই প্রণয় দে-কে শনিবার এনআরএস হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রেফতারির পরে তাঁকে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে ৩০ মে পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারকে। প্রণয়কে ট্যাংরার বাড়িতে নিয়ে গিয়েও শনিবার তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

ট্যাংরাকাণ্ডে এর আগে প্রণয়ের ভাই প্রসূন দে-কে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁকে আগেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছিল। তার পরেই প্রসূনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এত দিন প্রণয় হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভোরে অভিষিক্তার মোড়ে মেট্রোরেলের একটি স্তম্ভে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি। গাড়িতে সওয়ার প্রণয়, প্রসূন এবং প্রণয়ের পুত্র প্রতীপ গুরুতর আহত হন। তাঁদের বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রণয়, প্রসূন পুলিশকে জানায়, তাঁদের ট্যাংরার বাড়িতে পড়ে রয়েছে পরিবারের তিন মহিলার দেহ। তাঁদের কথা শুনে ট্যাংরার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রণয়ের স্ত্রী রোমি দে, প্রসূনের স্ত্রী সুদেষ্ণা দে এবং কন্যা প্রিয়ম্বদা দে-র দেহ। দে ভাইয়েরা দাবি করেছিলেন, আর্থিক সঙ্কটের কারণে পরিবারের সকলে মিলে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। সকলে মিলে ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খেয়েছিলেন।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, সুদেষ্ণা এবং রোমির মৃত্যু হয় হাত এবং গলা থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে। কিশোরী প্রিয়ম্বদার মৃত্যু হয় বিষক্রিয়ায়। তদন্তকারীদের একটি সূত্র মনে করে, ঘুমন্ত অবস্থাতেই সুদেষ্ণা এবং রোমির হাতের শিরা এবং গলা কেটে দেওয়া হয়েছিল। কিশোর প্রতীপ পুলিশকে জানিয়েছিল, কাকা প্রসূন ওই দু’জনকে খুন করেছেন। সেই দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রসূনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। সু্স্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে এ বার প্রণয়কেও গ্রেফতার করা হল।

Advertisement
আরও পড়ুন