Dog Squad

জঙ্গি দমনে পৃথক কুকুর বাহিনী এসটিএফের

কলকাতা পুলিশ, সিআরপিএফ, আইটিবিপি এবং এনএসজির মতো বাহিনী ওই বেলজিয়ান ম্যালিনোয়া প্রজাতির কুকুরদের ব্যবহার করেছে। ওসামা বিন লাদেন এবং আবু বকর আল বাগদাদির ডেরায় তাঁদের খুঁজে বার করতেও মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল আমেরিকান কমান্ডোদের সঙ্গে থাকা ওই প্রজাতির কুকুরেরা।

শিবাজী দে সরকার
শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৬:০২
রাজ্য পুলিশের এসটিএফ এ বার তৈরি করতে চলছে পৃথক কুকুর বাহিনী।

রাজ্য পুলিশের এসটিএফ এ বার তৈরি করতে চলছে পৃথক কুকুর বাহিনী। — ফাইল চিত্র।

জঙ্গি এবং দুষ্কৃতী দমনে গঠিত রাজ্য পুলিশের এসটিএফ এ বার তৈরি করতে চলছে পৃথক কুকুর বাহিনী। এ জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ভবানী ভবনে। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, বর্তমানে হায়দরাবাদে বেলজিয়ান ম্যালিনোয়া বা বেলজিয়ান শেপার্ড প্রজাতির কুকুরদের প্রশিক্ষণ চলছে। মোট ৮টি বেলজিয়ান ম্যালিনোয়া ওই বাহিনীতে নেওয়া হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে। চারটির প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। বাকিগুলিকে দ্রুত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানো হবে।

এর আগে কলকাতা পুলিশ, সিআরপিএফ, আইটিবিপি এবং এনএসজির মতো বাহিনী ওই বেলজিয়ান ম্যালিনোয়া প্রজাতির কুকুরদের ব্যবহার করেছে। ওসামা বিন লাদেন এবং আবু বকর আল বাগদাদির ডেরায় তাঁদের খুঁজে বার করতেও মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল আমেরিকান কমান্ডোদের সঙ্গে থাকা ওই প্রজাতির কুকুরেরা। দেশে পঠানকোটে জঙ্গি হামলার সময়েও লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খুঁজে বের করতে এনএসজি-কে সাহায্য করেছিল এই কুকুর। রাজ্য পুলিশের কর্তাদের মতে, কিছু দিন আগে পঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার আশ্রয় নিয়েছিল নিউ টাউনে। সেখানে তাদের ধরতে গেলে গুলির লড়াই হয় এসটিএফের সঙ্গে। সে রকম পরিস্থিতিতে এসটিএফ যাতে কুকুরের সাহায্য নিতে পারে, তাই তাদের ওই শক্তিশালী ও কর্মঠ প্রজাতির কুকুর দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।

বর্তমানে রাজ্য পুলিশের ডগ স্কোয়াডে ৭০টি কুকুর রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩০টি থাকে ব্যারাকপুরে স্বামী বিবেকানন্দ ট্রেনিং সেন্টারে। বাকিগুলি রয়েছে বিভিন্ন জেলা, পুলিশ কমিশনারেট এবং রেল পুলিশের হাতে। তাদের মধ্যে অনেকগুলি ল্যাব্রাডর ও জার্মান শেপার্ড প্রজাতির। বর্তমানে ব্যারাকপুরে স্বামী বিবেকানন্দ রাজ্য পুলিশ অ্যাকাডেমিতে পুলিশই কুকুরের প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছে। সেখানে জন্ম নেওয়া ১০টি শাবককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। রাজ্য পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে প্রজননের পরে প্রশিক্ষণ দিয়ে বাহিনীর সারমেয় সদস্যদের পাঠানো হবে বিশেষত যেখানে পুলিশ কুকুর নেই, সেইসব জেলায়।

আরও পড়ুন