Pak Army Chief Asim Munir

পাঁচ দিনের সফরে আমেরিকায় গিয়েছেন আসিম মুনির, রয়েছেন মার্কিন সেনার দফতরে! বলছে পাক সংবাদমাধ্যম

পাঁচ দিনের সরকারি সফরে আমেরিকায় গিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির! সে দেশের কূটনৈতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৫ ১২:২১
পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির।

পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। —ফাইল চিত্র।

পাঁচ দিনের সরকারি সফরে আমেরিকায় গিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির! সে দেশের কূটনৈতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’। ওই সূত্রের দাবি, মূলত দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সারতেই মার্কিন মুলুকে পা রেখেছেন মুনির। তবে কূটনৈতিক সূত্রটি এ-ও জানিয়েছে, শনিবার আমেরিকায় সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মুনিরকে। রবিবারই সে কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়েছিল হোয়াইট হাউস।

Advertisement

ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাতের আবহে পাক সেনাপ্রধানের আমেরিকা সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যেই ইরানে হামলা চালানোর জন্য আমেরিকার মিত্র দেশ ইজ়রায়েলের সমালোচনা করেছে ইসলামাবাদ। তার উপর ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক সদস্য সম্প্রতি দাবি করেছেন, পাকিস্তান তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, ইজ়রায়েল ইরানের উপর পরমাণু বোমা ফেললে ইসলামাবাদও ইজ়রায়েলকে আক্রমণ করবে। অবশ্য এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেনি পাকিস্তান। কিন্তু ইরানের ওই আধিকারিকের মন্তব্যের সত্যাসত্য নিয়ে ধন্দ থাকলেও এটা স্পষ্ট তেহরানের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে মুনির কেন আমেরিকায় গেলেন, তা স্পষ্ট নয়।

‘ডন’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, রবিবার আমেরিকায় পৌঁছেছেন মুনির। কয়েকটি সূত্রের দাবি, তিনি ফ্লরিডায় আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ডের সদর দফতরে রয়েছেন। এই সফরে নাকি আমেরিকার প্রতিরক্ষা এবং বিদেশ সচিবের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আমেরিকার পাক দূতাবাস মুনিরে সফরের বিষয়টি যেমন নিশ্চিত করেনি, তেমন খারিজও করে দেয়নি। অন্য দিকে, পূর্ব ঘোষণা মতো ওয়াশিংটনের পাক দূতাবাসের সামনে রবিবার বিকেল থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-এর সমর্থকেরা। ইমরানের সঙ্গে মুনিরের সম্পর্ক এমনিতেই ‘মধুর’। পিটিআই-এর দাবি, তারা খবর পেয়েছে যে, সেনাপ্রধান আমেরিকায় রয়েছেন। তাই পাকিস্তানে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানাতে এই সময়কেই বেছে নিয়েছে তারা।

Advertisement
আরও পড়ুন