গোটা গ্রাম ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের রংপুরে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটছে রবিবার। ১২ থেকে ১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ হয় বলে অভিযোগ। সমাজমাধ্যমে একটি ধর্মীয় বিষয়ক কটূক্তিকে কেন্দ্র করে ওই অশান্তির ঘটনা বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। গোলমাল এমন পর্যায় পৌঁছয় যে, সেনাবাহিনীর সহায়তা চাইতে হয় পুলিশকে। গোটা গ্রাম ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার আলদাদপুর বালাপাড়ায় আজ বিকেলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ায়। সূত্রের খবর, রংপুরের একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী সামাজিক মাধ্যমে ধর্মবিষয়ক পোস্ট করেছিলেন। গত শনিবার থেকে সেটির স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ১২ থেকে ১৫টি বাড়িতে হামলা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
আলদাদপুর এলাকাটি বাংলাবান্ধার পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থিত। ওই এলাকার প্রমথ মহন্ত বলেন, ‘‘শনিবার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাংলাবাজারে ধর্মীয় কটূক্তির প্রতিবাদে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। দুপুর ১টার দিকে মিছিল হয়েছে। কিন্তু মানববন্ধনের কথা বলে হঠাৎ করেই অতর্কিত হামলা ও লুটপাট চালায় অসংখ্য লোক। কিছু বাড়ি ভাঙচুর করেছে আর অন্য বাড়িগুলির লুটপাট করা হয়।’’
ওই এলাকার বাসিন্দা বিন্দুরাণী মহন্ত জানান, শনিবার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে রাতেই কেশবচন্দ্র রায়ের বাড়ি ভেঙে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
স্থানীয় থানার ওসি আল এমরান বলেন, ‘‘রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টের দিকে উত্তেজিত জনতা হামলা করে। কয়েকটা বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। আমাদের অনেক পুলিশকর্মীকে তারা লাঠি দিয়ে মেরেছে। এক পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।’’ সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ডিভিশনের ৩০ বেঙ্গলের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবু সাজ্জাদ নোয়াব বলেন, ‘‘সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। পর্যাপ্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’’