E-Paper

‘জেলের জবাব ভোটে’ কর্মসূচি, তারকা সুনীতাই

আপের পক্ষ থেকে ‘জেল কা জবাব ভোট সে’ (জেলের জবাব ভোটে) নামে একটি প্রচার শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপ সূত্রে জানানো হয়েছে, অরবিন্দ না থাকায় তাঁর স্ত্রী সুনীতাকেই তারকা প্রচারক হিসাবে দল মাঠে নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:১০
সুনীতা কেজরীওয়াল (বাঁ দিকে) এবং অরবিন্দ কেজরীওয়াল।

সুনীতা কেজরীওয়াল (বাঁ দিকে) এবং অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল ছবি।

অরবিন্দ কেজরীওয়ালের স্ত্রী সুনীতাকে তারকা প্রচারক হিসাবে সামনে রেখে ‘জেলের জবাব ভোটে’ প্রচারাভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলেন আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব। অন্য দিকে অস্বস্তি বাড়িয়ে আবগারি দুর্নীতি মামলায় আজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব বৈভব কুমার ও দলের বিধায়ক দুর্গেশ পাঠককে ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

দিল্লির ৭টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে এ বার ৪টি লোকসভা কেন্দ্রে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপ। বাকি ৩টি কেন্দ্র ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসকে। আজ আপের পক্ষ থেকে ‘জেল কা জবাব ভোট সে’ (জেলের জবাব ভোটে) নামে একটি প্রচার শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপ সূত্রে জানানো হয়েছে, অরবিন্দ না থাকায় তাঁর স্ত্রী সুনীতাকেই তারকা প্রচারক হিসাবে দল মাঠে নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে এ নিয়ে আগামী দিনে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করবে দল। আবগারি দুর্নীতিতে জামিনে মুক্ত আপের রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় সিংহ বলেন, “বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন কেজরীওয়াল। তাই কেজরীওয়ালের হাত শক্ত করতে এই প্রচারাভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। দলের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি আবেদন করবেন যে ভোটের দিন যেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ স্মরণ করে প্রত্যেক দিল্লিবাসী ভোটের বোতাম টেপেন। আমরা আশা করব বিজেপির স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের জবাব ইভিএমে দেবেন দিল্লিবাসী।”

দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশী আগেই আশঙ্কা করে জানিয়েছিলেন ভোটের আগে দলকে আরও দুর্বল করতে একে একে দ্বিতীয় সারির নেতাদের এ বার তদন্তে ডাকবে ইডি। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে আজ দলের বিধায়ক দুর্গেশ পাঠককে তাঁদের দফতরে উপস্থিত হওয়ার জন্য সমন পাঠায় ইডি। অভিযোগ, আবগারি দুর্নীতির টাকা গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহার করেছিল আপ। যে টাকা লেনদেনে দুর্গেশ পাঠকের নাম উঠে আসে। তাই তাঁকে আজ ডাকা হয়েছে। দুর্গেশ ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ ডাকা হয়েছে কেজরীওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বৈভব কুমারকে। ইডি সূত্রের মতে, আবগারি নীতি তৈরি থেকে তা বাতিল হওয়া পর্যন্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা কী ছিল তা বুঝতেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি।

এ দিকে জামিনে মুক্তি পাওয়া আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ আজ নতুন করে অস্বস্তির সামনে পড়লেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত মামলায় সঞ্জয়কে তলব করেছিল গুজরাতের একটি আদালত। সেই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সঞ্জয়। আজ সেই আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। ওই মামলায় সঞ্জয়ের সঙ্গে নাম রয়েছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালেরও।

বিতর্কের সূত্রপাত প্রধানমন্ত্রীর যোগ্যতা নিয়ে প্রকাশ্যে কেজরীওয়ালের সংশয় প্রকাশের পরে। তিনি জাতীয় তথ্য কমিনের দ্বারস্থ হয়ে মোদীর ডিগ্রির প্রমাণ চেয়েছিলেন। প্রথমে তথ্য প্রকাশে ছাড়পত্র দিয়েছিল জাতীয় তথ্য কমিশন। পরে গুজরাত আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। ডিগ্রি প্রশ্নে কেজরীওয়াল বলেছিলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে থাকেন, তা হলে তাঁদেরই উচিত ডিগ্রিটি
সর্বসমক্ষে আনা। কারণ তা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে গর্বের বিষয়। কিন্তু তারা সেই ডিগ্রি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওই চেষ্টা দেখে মনে হচ্ছে ডিগ্রিটি সম্ভবত ভুয়ো। আর সঞ্জয়ের বক্তব্য ছিল, প্রধানমন্ত্রী প্রবল ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁর ভুয়ো ডিগ্রিটির সত্যতা প্রমাণ করতে। আপের ওই দুই নেতার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানি হয়েছে, ওই যুক্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় স্থগিতাদেশ চেয়ে প্রথমে গুজরাত হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই নেতা। কিন্তু আজ শীর্ষ আদালত সেই আবেদন বাতিল করে দেয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 AAP Sunita Kejriwal Arvind Kejriwal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy