—প্রতীকী ছবি।
লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছে আসা অতিথিদের খাওয়ার দামও বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন। ভোটপর্ব মেটার পরে সেই হিসেব মিলিয়ে প্রার্থী খরচের ঊর্ধ্বসীমা লঙ্ঘন করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখবে কমিশন। এবং তা করতে গিয়ে একাধিক খাদ্যের দামের সীমা বেঁধে দিয়েছে কমিশন।
নির্বাচনী প্রচারপর্বে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হয় প্রার্থীকে। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের জন্য চা-জলখাবারের বন্দোবস্তও করতে হয়। সেই বাবদ খরচ যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী খরচের ঊর্ধ্বসীমা লঙ্ঘন না করে, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ বলে সূত্রের খবর। যেমন পঞ্জাবের জালন্ধরে এক কাপ চায়ের দাম ১৫ টাকা বেঁধে দিয়েছে কমিশন। ওই একই টাকা ধরা হয়েছে একটি শিঙাড়ার দাম বাবদ। অর্থাৎ কোনও অতিথিকে এক কাপ চা এবং একটি শিঙাড়া খাওয়ালে সেই বাবদ মোট ৩০ টাকা অবধি খরচ করতে পারবেন প্রার্থী। সেখানে ছোলে-বাটুরের দাম প্রার্থীদের জন্য ৪০ টাকায় বেঁধে দিয়েছে কমিশন। আবার মধ্যপ্রদেশের মান্ডলায় সেই চায়ের দাম ধরা হয়েছে সাত টাকা, শিঙাড়ার দাম সাড়ে সাত টাকা। আবার মধ্যপ্রদেশের বালাঘাটে চায়ের দাম ৫ টাকা ধরা হলেও শিঙাড়ার দাম ধরা হয়েছে ১০ টাকা। একই ভাবে দেশের প্রতিটি প্রান্তে চা, শিঙাড়া, ইডলি, পোহা এমনকি মুরগি বা পাঁঠার মাংসের দামও বেঁধে দিয়েছে কমিশন। অতিথিদের খাওয়া বাবদ খরচ যাতে সেই সীমা টপকে না যায়, সে দিকে নজর রাখতে হবে খোদ প্রার্থী বা তাঁর দলকে।
কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। কমিশন যে দাম নির্ধারণ করেছে, বহু খাবারের দাম তার থেকে বেশি বা সামান্য কম। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে রসিকতাও শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেই বলছেন, প্রার্থী পিছু খরচের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়ে কমিশন দেদার খরচে রাশ টানার চেষ্টা করে ঠিকই, কিন্তু ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই প্রার্থী বা দল তার তুলনায় ঢের বেশি খরচ করে অন্য উপায়ে। যে দলের যত বেশি টাকা, তারা প্রচারপর্বে তত বেশি খরচ করে বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। তার উপর দলের বা প্রার্থীর ‘শুভাকাঙ্খী’রাও সরাসরি না করে ঘুরপথে বহু টাকা খরচ করেন বলেও অভিযোগ। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, চা-শিঙাড়ার দাম কমিশন বেঁধে দিলেও অতিথিদের থালায় যে অন্য ‘দামী’ খাবার পড়বে না, তার নিশ্চয়তা কে দেবে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy