Advertisement
Back to
Presents
Associate Partners
Lok Sabha Election 2024

আজ পরীক্ষা অবাধ ভোটের

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এ দিন প্রতিটি বুথে ন্যূনতম চার জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবেন। সঙ্গে থাকবেন এক জন লাঠিধারী রাজ্য পুলিশ।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৪ ০৮:২০
Share: Save:

পঞ্চায়েত ভোটে রক্তপাত বন্ধ করতে পারেনি পুলিশ-প্রশাসন। একাধিক খুন হতে দেখেছে নদিয়ার মানুষ। সেই আতঙ্কের স্মৃতি ফিকে হওয়ার আগেই আজ, সোমবার লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় ভোটে যাচ্ছে কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট কেন্দ্র। অর্থাৎ উত্তরে করিমপুর এবং দক্ষিণে কল্যাণী-হরিণঘাটা বাদে নদিয়ার পুরোটাই।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এ দিন প্রতিটি বুথে ন্যূনতম চার জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবেন। সঙ্গে থাকবেন এক জন লাঠিধারী রাজ্য পুলিশ। প্রশ্ন হল, এই নির্দেশ কি আদৌ যথাযথ ভাবে মানা হবে? কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সক্রিয় থাকবে? গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কিছু কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলায় এসেছিল। কিন্তু তাতে কার্যকরী কিছু হয়নি। চাপড়ায় গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে বুথের সামনে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল এক তৃণমূল কর্মীকে। কোতোয়ালি থানার আনন্দবাসে ভোট দিতে আসার পথে মরা খেয়ে হাসপাতালে মারা যান সিপিএম সমর্থক প্রৌঢ়। এ ছাড়াও জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণে বিভিন্ন গ্রামের বুথে দুষ্কৃতী হামলা, বোমাবাজি, ব্যালট বাক্সে আগুন লাগানো, বাক্স নদী বা পুকুরে ফেলে দেওয়া, কেন্দ্রীয় বাহিনীর শূন্যে গুলি ছোড়া, কিছুই বাদ যায়নি।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

রবিবার সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুমিত বিশ্বাস বলেন, “কমিশনের নির্দেশ মতো যেন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হয়। জওয়ানদের যেন নিষ্ক্রিয় করে রাখা না হয়।” বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া আহ্বায়ক সন্দীপ মজুমদারের কথায়, “আশা করছি, এ বার জেলা প্রশাসন কমিশনের নির্দেশ মতো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।” আর, তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমানের দাবি, “সবই হচ্ছে বিজেপির সুবিধা মতো। তবে আমাদের সঙ্গে জনতা আছে, তারাই নিরাপত্তা রক্ষা করবে।”

ভোটের জন্য রানাঘাট-সহ বিভিন্ন এলাকার বহু বেসরকারি বাস ও ছোট গাড়ি ভাড়া হয়ে গিয়েছে। ফলে রবিবার দিনভর নাকাল হতে হয়েছে বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের। শান্তিপুরের হরিপুর এলাকার বাসিন্দা নিয়াজ মণ্ডল বলেন, "সকালে রানাঘাট এসেছিলাম। রানাঘাট-কালনা রুটের বাসে ফেরার কথা। কিন্তু রানাঘাট উত্তরবঙ্গ বাসস্ট্যান্ডে দু'ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাস মেলেনি।" বাধ্য হয়ে তাঁকে বেশ কয়েক দফায় গাড়ি বদল করে শান্তিপুর ফিরতে হয়েছে। এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে কৃষ্ণনগর থেকে তেহট্ট পর্যন্ত অনেকেরই।

তবে তারই মধ্যে এ দিন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ভোটকর্মীরা ডিসিআরসি কেন্দ্রগুলিতে গিয়েছেন এবং দায়িত্ব বুঝে নিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে চলে গিয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি থেকে আসা ভোটকর্মী সুকোমল দাস বলেন, "আমরা প্রত্যেকেই চাই, ভোট শান্তিপূর্ণ হোক।" নদিয়া জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ বলেন, “ভোট যাতে বাধ ও শান্তিপূর্ণ হয় তার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2024 Nadia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE