১৯৭৯ সাল। ৪৪ বছর আগে উত্তর আমেরিকার জর্জিয়া প্রদেশের আটলান্টা শহরে দুর্গাপুজোর কথা ভাবেন সেখানকার প্রবাসী বাঙালিরা। বাংলায় যখন অনেক ক্লাব একের পর এক নিজেদের পুজো শুরু করছে বিদেশের মাটিতে চুপ থেকে থাকতে পারেননি কয়েকজন বাঙালি। শুরু করেন দুর্গাপুজো। প্রথমে নাম নিয়ে কিছু দোলাচল চলে। শেষে এখানকার ‘বেঙ্গলি এসোসিয়েশন অফ গ্রেটার আটলান্টা’ পুজো শুরু করে।
বিদেশের মাটিতে দেওয়ালি মান্যতা পেয়েছে। তবে দুর্গাপুজোর ব্যাপারে কিছু বাধা আছে। ছুটি পাওয়া যায় না। এখন ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা পাওয়ার পর পরিস্থিতির বদল ঘটছে। বিদেশে দুর্গাপুজো জন্য ছুটি পাওয়া যাবে কিনা তা সময় বলবে। তাই আটলান্টার এখানকার এই পুজো সপ্তাহের শেষের দিন থেকেই হয়। শুক্রবারের সন্ধ্যায় পুজো শুরু হয় এখানে। এ বারেও তাই হয়েছে।
একটি হাইস্কুলের সবাই মিলে বিদ্যালয়ের পুজোর আয়োজন করে। কলকাতা থেকে প্রশান্ত পালের তৈরি দুর্গা মূর্তি আনা হয়। মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হয় না।
শেষ বার ২০১২ সালের ভারত থেকে য়ে প্রতিমা যায়, সেখানে সেই মূর্তি সামনে রেখেই পুজো করা হচ্ছে। দেবী এক চালার নয়, তবে সাবেকি ভাব বজায় রয়েছে। এই বাঙালি সংগঠনের সদস্যরা পুরোহিতের ভূমিকা পালন করেন।
পুজোয় কোনও খামতি রাখেন না এই কমিটির সদস্যরা। পুজোর রীতি থেকে সিঁদুর খেলা, কাঁসর-ঢাক সব কিছুই থাকে। এই ক’টা দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সদস্যরা যেমন অংশগ্রহণ করেন তার সঙ্গে সঙ্গে বাংলা থেকেও অনেক শিল্পী আসেন। এ বছরও একটি নামী ব্র্যান্ড ও এক গায়ক ওখানে অনুষ্ঠান করেছেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy