এই অতিমারির মধ্যেই কানসাস সিটিতে ধুমধাম করে হয়ে গেল মিডওয়েস্ট সর্বজনীন দুর্গা পুজো।
বাঙালি প্রতিষ্ঠান 'সঙ্গম'-এর পরিচালনায় ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ছিল পুজোর আয়োজন। এ বছর 'সঙ্গম'-এর রজত জয়ন্তী বর্ষ। মিডওয়েস্ট সর্বজনীন দুর্গোৎসবেরও ২৫ বৎসর।
আমেরিকায় বসবাসকারী বাঙালিরা সাধারণত সাপ্তাহিক ছুটির দিনেই দুর্গাপুজো করেন। সেই নিয়মেই মিডওয়েস্ট সর্বজনীনের শারদোৎসবে শুক্রবার সন্ধেবেলা ছিল ষষ্ঠী ও বোধন। শনিবার সপ্তমী, অষ্টমী নবমী সেরে রবিবার দশমীর পুজো, বিসর্জন আর মহিলাদের সিঁদুর খেলায় মাতেন প্রবাসী বাঙালিরা। শাড়ি-গয়না, ধুতি-পাঞ্জাবির শারদ-সাজে ঝলমলিয়ে উঠেছিল গোটা চত্বর।
বাদ যায়নি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। শুক্র-সন্ধ্যায় পুরনো বলিউডি গান, শনিবার টেক্সাস অস্টিন শহরের বাংলা ব্যান্ডের অনুষ্ঠানে জমে গিয়েছিল পুজোর মেজাজ।
আর এলাহি ভোজ তো ছিলই। খিচুড়ি, বেগুনি, পাঁপড় থেকে ছোলার ডাল, পটলের ডালনা, এঁচোড় পেরিয়ে রুই, চিংড়ি, পাঁঠার মাংস; শেষ পাতে মিষ্টি কমলা ভোগ, ল্যাংচা, মিষ্টি দই। যাকে বলে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া!
এ বছর 'সঙ্গম' প্রতিমা এনেছে কলকাতার কুমোরটুলি থেকে। ডাকের সাজের প্রতিমার শিল্পী কৌশিক ঘোষ। এখানকার বাঙালি শিল্পী দীপা কাঞ্জিলালের পরিচালনায় প্রতিমার সাজসজ্জা হয়েছিল দেবীর ঘোড়ায় টানা রথে মর্ত্যে আগমনের ভাবনা।
বাঙালির দুর্গোৎসব মানে সাহিত্য উৎসবও বটে। অন্যান্য বারের মতোই প্রকাশিত হয়েছে শারদীয়া পত্রিকা ‘দেশবিদেশ’। দেশ থেকে তাতে লিখেছেন দেবদূত ঘোষঠাকুর, তপন সাহা, নাট্যকার দেবশঙ্কর হালদার। লিখেছেন এখানকার বাঙালিরাও।
প্রতিদিন প্রায় ২৫০ জনের বেশি প্রবাসী বাঙালি এই আনন্দ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন কোভিড বিধি মেনে৷ কানসাস সিটি অঞ্চলের বাঙালি সম্প্রদায় যোগ দিয়েছেন মহা উৎসাহে। 'সঙ্গম'-এর সভাপতি অমিতাভ চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানের রজত জয়ন্তী বর্ষের শারদোৎসব তাই কেটে গেল মহা আনন্দেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy