শোলাঙ্কি রায়। ডাঃ কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ই হোক বা বৃষ্টি রায়, সব চরিত্রেই সমান সাবলম্বী। বাঙালিদের কাছে শোলাঙ্কি মানেই একগাল মিষ্টি হাসির মিষ্টি মেয়ে। ইদানিং অবশ্য তিনি বাঙালির ড্রয়িং রুমে খড়ি নামেই পরিচিত। অসাধারণ হাতের কাজে মন কাড়ছেন। পুজো মানে তাঁর কাছে কী? জানালেন টিম আনন্দ উৎসবকে।
পুজো মানেই শোলাঙ্কির কাছে আলো, আনন্দ, ছুটি। পুজোয় আগেভাগে প্ল্যান করে বেড়াতে যাওয়া একেবারেই না-পসন্দ। বরং আচমকা প্ল্যানই বেশি ভাল লাগে তাঁর। অভিনেত্রীর মতে, পুজোর ক’দিনই একটু ঘুমোতে পারেন ঠিক মতো। তাই বেলা করে ঘুম থেকে ওঠা আর ইচ্ছেমতো রাত জাগা- এই হল খড়ির পুজোর প্ল্যান। সঙ্গে অবশ্যই বন্ধুদের জমাটি আড্ডা।
ছোটবেলার পুজোর বেশির ভাগটা কেটেছে কলকাতার বাইরেই। পুজোর ছুটি মানেই ছিল বেড়াতে যাওয়া। তবে একটু বড় হতেই পাল্টেছে অভ্যাস। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টান বেড়েছে শহরের উপরে। তাই এখন আর কলকাতার বাইরে পুজো কাটানোর কথা ভাবতেই পারেন না! যদিও দুই রকমের পুজোই তাঁর মনের খুব কাছের। শোলাঙ্কি জানান, এখনকার পুজোতে মজা থাকলেও ছোটবেলার পুজোয় এক অন্য ধরনের উত্তেজনা কাজ করত। যা আজকাল বড্ড মিস করেন তিনি। ছোটবেলার পাড়ার পুজোয় সকাল থেকে রাত অবধি বাজতে থাকা ঢাকের কাঠিগুলো আজও যেন টানে তাঁকে।
তবে পুজোর প্রেম মানে কিন্তু তাঁর কাছে স্রেফ পাঁচ দিনের নয়। শোলাঙ্কির কথায়, “পুজো, আশ্বিন মাস, শরৎকাল- সব মিলিয়েই এমন একটা আবহাওয়া থাকে, যে সময়টাই খুব প্রেম প্রেম আমেজের।” আর সেই সময়ে প্রেম করাটাও বেশ উপভোগ করেন অভিনেত্রী। কিশোরীবেলায় পুজোয় ঘোরাঘুরির নাম করে প্রিয় মানুষটার সঙ্গে বেরিয়ে পড়ার উত্তেজনাই ছিল অন্য রকম। যদিও বেশির ভাগ দিনে সঙ্গে থাকত বন্ধুরা। তবে এক দিন বা একটা বেলা কাটত একদম নিভৃতে। শুধুই দু’জনে।
মা দুর্গার কাছে শোলাঙ্কির প্রার্থনা- কোনও কিছুতেই টাকা যেন বাধা না হতে পারে। টাকার জন্য যেন কোনও সাধ অপূর্ণ না থাকে। আর চাই এক সুপার পাওয়ার, যা ব্যবহার করলেই তাঁর অনেক রূপ একই সময়ে পৌঁছে যেতে পারবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে!
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy