Jagadhatri Puja 2022: celebrations of jagadhatri puja at different places in Krishnanagar dgtl
Jagadhatri Puja2022
মালোপাড়ার জলেশ্বরী তুষ্ট হন ‘ধুনো পোড়া’য়! মানত করতে ছুটে আসেন দূর-দূরান্তের মানুষ
এখনও পর্যন্ত নানা আকারের প্রায় শতাধিক জগদ্ধাত্রী পুজো হয় সারা কৃষ্ণনগরে। সেই উদযাপন প্রায় মহোৎসবের আকার নেয়।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২২ ১৩:৪০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
প্রচলিত বিশ্বাস বলে, ১৭৫৪ সালে স্বপ্নাদেশ পেয়ে প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজো করেছিলেন স্বয়ং মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়। কৃষ্ণনগরে সেই পুজোর হাত ধরেই বাংলায় জগদ্ধাত্রীর আরাধনা শুরু।
০২১০
তার পর থেকেই এখনও পর্যন্ত নানা আকারের প্রায় শতাধিক জগদ্ধাত্রী পুজো হয় সারা কৃষ্ণনগরে। সেই উদযাপন প্রায় মহোৎসবের আকার নে
০৩১০
সারা রাজ্যের মানুষ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন এই উৎসব চাক্ষুষ করতে। তবে অন্যান্য জায়গার মতো চার দিনের পুজো হয়না কৃষ্ণনগরে। এখানে উৎসব এক দিনের।
০৪১০
তিন দিনের পুজো হয় নবমীর দিনেই।আর দশমীতে বিসর্জন। ঐতিহ্যবাহী এই ভাসান দেখতে ভিড় করেন অগণিত মানুষ।
০৫১০
সারা শহর মাখে উৎসবের আমেজ। কৃষ্ণনগরে বনেদি বাড়ির পুজোর জনপ্রিয়তাও রয়েছে অন্য মাত্রায়। তাদের মধ্যে মা জলেশ্বরীর পুজো খুবই বিখ্যাত।
০৬১০
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সমকালীন এই পুজো এখনও নিজের ঐতিহ্যের সঙ্গে সমান জৌলুস নিয়ে আয়োজিত হয়ে চলেছে। এই পুজোর এক বিশেষ আকর্ষণ ‘ধুনো পোড়া’ ।
০৭১০
এই পুজোয় মানুষ দেবীর কাছে মানত করেন ধুনো দেওয়ার, আর মানত পূরণ হলে ধুনো অর্পণ করেন দেবীকে। কৃষ্ণনগরের মালোপাড়ার এই পুজোয় এই বিশেষ রীতি পালন হয় নবমীর দিনে।
ধুনোর আগুন যত উঁচুতে ওঠে, ততই ভাল বলে মনে করেন সবাই। সঙ্গতে থাকে ঢাকের বাদ্যি! প্রতি বছর এই ধুনো পোড়া স্বচক্ষে দেখতে জমায়েত করেন হাজার হাজার মানুষ।
১০১০
এমনই অনেক পুরনো পুজোর ইতিহাস বহন করে চলেছে কৃষ্ণনগর। এখানকার বুড়িমা এবং ছোটমার পুজো-ও যেমন অতি প্রাচীন এবং বিখ্যাত। তা দেখতে জনতার ঢল নামে প্রতি বছরই। কড়া নিরাপত্তার চাদরে তখন মুড়ে ফেলা হয় পুরো কৃষ্ণনগর শহর!