কলকাতায় কফিহাউসগুলি বহু দিন ধরেই নানা বয়সের আড্ডার ডিপো। সে কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসই হোক, কী চাঁদনিচক, কী যাদবপুর।
তিনটি কফিহাইসেই বহু কাল ধরে আনাগোনা নানা বিখ্যাত মানুষের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা। কফি পান, সাহিত্য পাঠ, রাজনৈতিক তরজা, আলোচনার জন্য কফিহাউসগুলির বোলবোলা বহু কালের। যুগের ফেরে তার রকমে নানা ফারাক এসেছে।
চাঁদনি চকের কফি হাউস তার পুরনো চেহারা সরিয়ে এখন ঝাঁ চকচকে। কলেজ স্ট্রিট হাউসে তেমন নিয়মিত যাতায়াত না থাকলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে খাবারের বা পানীয়র অর্ডার না দিয়ে শুধুই আড্ডা দেওয়া যায় না।
প্রবেশ দ্বারে।
ষাটের দশকের মাঝামাঝি তৈরি হওয়া এই কফিহাউস শুধু দক্ষিণ কলকাতাবাসী নয়, কলকাতার অন্যান্য অঞ্চলের মানুষদেরও আড্ডা দেওয়ার নিশ্চিন্ত ঠিকানা ছিল।
কিন্তু বন্ধ হল কেন এই প্রাচীন আড্ডাস্থল? শোনা যাচ্ছে, এক শ্রেণির গ্রাহকদের সঙ্গে তর্কাতর্কি, বচসা ইত্যাদিই তার কারণ। এরা নিয়মিত টেবিল জোড়া রেখে নাকি অফিসের কাজকম্ম করেন। নিজের সঙ্গের জিনিসপত্র পাশের চেয়ারে রেখে সঙ্গীর ‘জায়গা’ রাখেন। তাতে অন্যদের অসুবিধে হয়। ব্যবসায়িক ক্ষতি হয় তাঁদেরও। কিছু দিন আগে এমনই একজনের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বিরোধ বাধে। এর জেরে তাঁরা ঠিক করেছেন, আপাতত কফিহাউস তারা কিছু দিনের জন্য বন্ধ রাখবেন। ‘দোষিদের’ ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তুলছেন তারা। তাঁরা জনিয়েছেন, ‘এমন চলতে থাকলে কফি হাউসের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। কিছু লোকের জন্য অধিকাংশ লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ হন, তারা চান না।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy