পুজোর আগে ঘরের ভোল পালটে ফেলুন রকমারি পর্দায়! রইল টিপস
পুজোর আগে বাড়িতে লোকজনের আসা যাওয়া লেগেই থাকে। সুন্দর হোক অন্দর, এমনটা কে না চায়! সহজে ঘরের চেহারা বদলে দিতে পারে বাছাই করা পর্দা
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৩ ১৯:৪৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
ঘর সাজানোর কোনও বিশেষ সময় আছে নাকি? সারা বছরই টুকটাক বদল আর নতুন ভাবনা চিন্তা চলতেই থাকে। তবে পুজোর মরসুমে বাড়িতে অত্থির আনাগোনা অনেক বেশি। আর কে না চায়, নিজের বাড়িকে এ দিনগুলোয় নজরকাড়া করে তুলতে! সহজে ঘরের চেহারা বদলে ফেলতে চাইলে আস্থা রাখুন পছন্দসই পর্দায়। অতিথিদের তাক লাগিয়ে দিতে রইল কিছু টিপস।
০২১৩
ঘর সাজানোর মন্ত্রে প্রথম সারিতে আসে পর্দা। কী ভাবে সাজাবেন অন্দর, তা বুঝেশুনে এগোলে চেনা ঘরই আরও বড় ও সুন্দর দেখায়। শুধু দরজা বা জানলায় নয়, পর্দার দৌলতে ঘরের ছাদ আরও উঁচু দেখাতে পারে। পর্দার রকমসকম তাই আগেভাগেই বুঝে নিন।
০৩১৩
প্রথমেই দেখে নিতে হবে আপনার ঘরের দেওয়ালের রঙ বা আসবাবপত্র কী রকম। অনেকেই এমন রঙের পর্দা বেছে নেন, যাতে দেওয়ালের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকে। মেহগনি বা অন্যান্য কাঠের আসবাব ঘরে রাখলে, তার সঙ্গে মিলিয়েও পর্দা কিনতে পারেন।
০৪১৩
পর্দার রঙ হতে পারে হাল্কা প্যাস্টেল শেডে। ঘরের পরিবেশে আসবে শীতলতার ছোঁয়া। আবার ধরুন ঘরের দেওয়াল খুব হাল্কা রঙের। সে ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রঙের কনট্রাস্ট পর্দাও ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঘরও খুব উজ্জ্বল আর সুন্দর দেখাবে।
০৫১৩
প্রিন্টেড নাকি একরঙা পর্দা- কোনটা মানাবে আপনার ঘরে, কেনার আগেই ভেবে নিতে পারেন। বসার ঘরের সোফাসেট বা শোওয়ার ঘরের বিছানা এবং অন্যান্য আসবাব একরঙা হয়, তবে প্রিন্টেড বা কারুকাজ করা পর্দা বাছতেই পারেন। আর ঘরের আসবাবপত্রে যদি থাকে ভারী কাজ বা জমকালো নকশা, তাহলে বেছে নিন হাল্কা রঙের একরঙা পর্দা।
০৬১৩
অনেকে ঘরে ছোট পর্দা ব্যবহার করেন, যাতে আলো-বাতাস খেলে বেশি। কারও পছন্দ আবার বড়, লম্বা পর্দা, যাতে ঘর বড় এবং ছাদ উঁচু দেখায়। জানলায় ছোট পর্দা থাকলে অনেক সময়ে ঘর ছোট দেখাতে পারে। তাই নিজের পছন্দ ও ভাবনা অনুযায়ী ঠিক করে নিতে পারেন পর্দার দৈর্ঘ্য। বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকলে অনেকেই বড় পর্দা ব্যবহার করেন না। এতে সামলানোর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
০৭১৩
পর্দার কাপড় বাছাই করা সবচেয়ে জরুরি। বসার ঘরকে বড় দেখাতে ও আলো বাতাস খেলার সুযোগ করে দিতে পাতলা নেট জাতীয় স্বচ্ছ কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঘরে রোদও আসে আর বসার ঘর উজ্জ্বল ও খোলামেলা দেখায়।
০৮১৩
শোওয়ার ঘরের জন্য বেছে নিতে পারেন একটু ভারী বা মোটা কাপড়ের পর্দা। এতে খুব বেশি রোদও ঘরে আসে না, আর শোয়ার ঘরের গোপনীয়তা বজায় রাখতেও অসুবিধা হয় না। সুতির কাপড় বা স্যাটিন কাপড়ের কাজ করা পর্দা এ ক্ষেত্রে বেশ উপযোগী।
০৯১৩
পর্দায় রকমফের আনতে ভারী ও স্বচ্ছ পর্দার কাপড় মিশিয়ে একসঙ্গে টাঙাতে পারেন। এতে অন্দরসজ্জায় একঘেয়েমি দূর হয়। আবার দুই রকম পর্দাই একসঙ্গে ব্যবহার করার সুযোগ থাকে। বসার ঘরে পর্দার টাঙানোর রডে দু’দিকে দুটো মোটা সুতি বা স্যাটিন কাপড় এবং মাঝে নেট জাতীয় স্বচ্ছ কাপড়ের পর্দা টাঙাতেই পারেন।
১০১৩
বসার ঘর বা শোওয়ার ঘরে যদি হাল্কা রঙের দেওয়াল থাকে, সে ক্ষেত্রে দুই দিকে প্রিন্টেড কাপড় ও মাঝখানে একরঙা কাপড়ের পর্দা বানাতে পারেন। একই ভাবে যদি ঘরের দেওয়াল হয় গাঢ় রঙের, তা হলে দু’দিকে নরম প্যাস্টেল শেডে একরঙা পর্দা দিয়ে মাঝখানে রাখুন প্রিন্টেড কাপড়ের পর্দা।
১১১৩
ইদানীং বাঙালীর গৃহকোণে সাবেকিয়ানার নানা ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। তার অন্যতম হল জানলায় চিক বা খড়খড়িকে ফিরিয়ে আনা। অনেকেই এখন স্বচ্ছ, নরম প্যাস্টেল রঙের পর্দার সঙ্গে চিক বা খড়খড়ি ব্যবহার করছেন। ঘরে রোদ কমানোর প্রয়োজন পড়লে চট করে নামিয়ে নেওয়া যায় চিক। আর তাতেই কেল্লাফতে। আবার তার দরকার না হলে এমনিও সুন্দর দেখায়।
১২১৩
ঘরকে খুব প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল দেখাতে চান? ঘরের একঘেয়ে একরঙা পর্দা বদলে খুব বড় বড় উজ্জ্বল প্রিন্টের বা জিওমেট্রিক নকশার পর্দা টাঙিয়ে দেখতে পারেন। বসার ঘর হোক কিংবা অন্য কোনও ঘর, এক নিমেষে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
১৩১৩
শুধু জানলা কেন, অনেকেই পর্দার ব্যবহার করেন দেওয়াল হিসেবে। ঘরের মধ্যে কোন অংশ আড়াল করতে বা জায়গা বাড়ানোর জন্য এ ভাবে ভাবতে পারেন। সেই পর্দার কাপড় যদি হয় ভেলভেট বা ঝালর, তবে তো কথাই নেই! অতিথিদের মুখে মুখে ফিরবে আপনার ঘর সাজানোর অভিনবত্ব।