কিন্তু মুশকিল হল, আঁধার রাত। আগামীকাল অমাবস্যা তাই চাঁদের আলো নেই, উপরন্তু ঘন কুয়াশা। সামান্য প্রদীপের আলোয় কিছুই ঠাহর হয় না। কুটিলা উপায় দিলেন। দুর্জনের ছলের অভাব নেই। তাই তিনিও পরিকল্পনা করেই রেখেছিলেন। দুপুরে জম্পেশ করে নাপিত বউকে দিয়ে আলতা পরিয়েছিলেন রাধার পায়ে। কুয়াশায় ভেজা মাঠ পথে লাল পদচিহ্ন আঁকা হয়ে রয়েছে।
সেই দিকে ছুটে চললেন সকলে। ওই যে কুঞ্জবনের মাঝে দেখা যায় আলো। তারপর? আয়ান এ কী দেখলেন? আয়ানের হাত থেকে খসে পড়ল অস্ত্র। চোখ দিয়ে অঝোরে নেমে এল অশ্রুধারা। পশ্চাতে জটিলা এবং কুটিলা তখনও কথা বলে চলেছে। কিন্তু সে চিত্রার্পিতের ন্যায় স্থির। ভক্তির আবেশে চোখ বুজে আসে আয়ানের, তার ইষ্ট দেবী, পরমা শক্তি 'মা কালিকা', তাঁর সামনে!
কিন্তু মায়ের এ কেমন রূপ, বরাভয় মুদ্রা, অথচ হাতে বংশী ও খর্পর বা খড়্গ! এ কী আশ্চর্য রূপ তাকে দেখালেন মা! শ্রী রাধা বনফুলে মালা গেঁথে মায়ের সেবায় মগ্ন। থরথর করে কেঁপে ওঠে আয়ান, লুটিয়ে পড়লেন মায়ের পদতলে। মাতৃকায়া~ কৃষ্ণকালী চতুর্ভুজা কৃষ্ণবর্ণা চূড়ামুকুট মণ্ডিতা। দক্ষিণহস্তে শঙ্খ ও খর্পর ধারিণী এবং নবযৌবনসম্পন্না। বাম হস্তে খড়্গ ও চক্র ধারণ করে আছেন এবং মুণ্ডমালা বিভূষিতা। গোপিনীদের দ্বারা অর্চিতা এবং নানালঙ্কার ভূষিতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy