একদম শুরুর দিকে পাড়ার প্রধান পুজো ছিল সরস্বতী পুজো। দুর্গা উৎসবের সময় পাড়ার বাসিন্দারা পাশের পাড়া বকুলতলা এবং প্রগতি সংঘের পুজোতে অংশগ্রহণ করতেন। যেহেতু সরস্বতী পুজো পাড়ায় ধুমধাম করে হয়, তাই ক্লাবের নাম হয় ঢাকুরিয়া সারস্বত সম্মিলনী। দুর্গাপুজোর সময় অন্য পাড়ায় যেতে হয় বলে ১৯৭৭ সালে এখানে দুর্গাপুজো শুরু হয়।
এই ধারা বজায় রেখে এ বার ৪৭ বছরের পুজো এই ক্লাবের। শুরুর লগ্ন থেকে আগের বারের পুজো পর্যন্ত প্রতিমা এবং মণ্ডপে সাবেকিয়ানা বজায় থাকলেও এ বার কিছুটা থিম পুজোর দিকে ঢুকেছে ঢাকুরিয়ার এই পুজো কমিটি। দেবীর চালচিত্রের বিভিন্ন আঁকা দিয়ে পুজো মণ্ডপ সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
প্রতিমা থাকছে একচালার। মহালয়ার পরের দিন ১৫ অক্টোবর দর্শনার্থীদের জন্য পুজো মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে। দশমীর দিন থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একাদশীর দিন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে।
পুজো কমিটির সহ কোষাধ্যক্ষ অরিজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা এত দিন সাবেকিয়ানার মাধ্যমেই পুরো করে এসেছি এ বার প্রতিমাতেও থাকছে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। পুজো মণ্ডপের ক্ষেত্রে দেবীর যে চালচ্চিত্র হয় তা ফুটিয়ে তুলে ধরা হচ্ছে। দশমীর দিন বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমরা করব। এ ছাড়াও অষ্টমীর দিন থাকছে ভোগ বিতরণী অনুষ্ঠান।’’
পুজো মন্ডপ- চালচ্চিত্র
প্রতিমা শিল্পী- কৌশিক পাল
থিম শিল্পী- অভীক বড়াল
যাবেন কী করে- ঢাকুরিয়া রেলস্টেশন নামতে হবে। স্টেশন থেকে বেরিয়েই পুজো। ল্যান্ডমার্ক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন ঢাকুরিয়া সুইমিং এসোসিয়েশনের নাম।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy