সেকাল থেকে একালের বার্তাবাহক হয়ে আসছে শিবপুর বটতলার এবারের পুজো। ৯৪ তম বর্ষে এবারে তাদের নিবেদন ‘বার্তা‘। পুজোর যুগ্ম সম্পাদক প্রীতম দত্ত বলেন, ‘‘ব্যস্ততার জীবনে আমরা যত বেশি প্রযুক্তির সঙ্গে একাত্ম হচ্ছি ঠিক ততটাই দূরে সরে যাচ্ছি কাছের মানুষদের থেকে। হোয়াটসঅ্যাপের একটি মেসেজের উত্তর বা প্রতিক্রিয়া দিয়ে যখন অনুভূতিগুলিকে জানান দিচ্ছি ততই রাস্তার ধারে ধুলো পড়া লেটারবক্সগুলি আমাদের দিকে তাকিয়ে ব্যঙ্গের হাসি দিচ্ছে। এক জন রানারের এক পাড়া থেকে অন্য পাড়ায় যেতে যত সময় লাগত, তার থেকে অনেক কম সময়ে ভিডিয়ো কলের স্ক্রিনে হাত বুলিয়ে ভিন দেশে থাকা কাছের মানুষদের ছুঁয়ে ফেলা যাচ্ছে। কিন্তু এই উন্নতির ভিড়ে কোথাও সেই আন্তরিক অনুভূতিগুলিতে ধুলো জমছে না তো? মানুষকে এইভাবে ভাবাতে সাহায্য করবে আমাদের এই উপস্থাপনা।"
মণ্ডপের প্রবেশপথ থেকে প্রস্থানদ্বার অবধি বার্তা পাঠানোর মাধ্যমগুলি যেমন পায়রা, রানার, সেকালের টেলিফোন, মুঠোফোন প্রভৃতি কালক্রমানুযায়ী সাজানো থাকবে। থিম মিউজিক ও থাকছে হাওড়ার এই পুজোটিতে। এর পাশাপাশি প্রতিমা দর্শনে আসা সব শিশুদের জন্য থাকছে ‘তাৎক্ষণিক চিঠি লেখা‘ প্রতিযোগিতা।
নব্বই পেরোনো এই পুজো আগে বহরে অনেক ছোট ছিল। সময়ের সাথে সাবেকিয়ানা ছেড়ে থিমের হাত ধরেছে এই পুজো।
প্রতিমা শিল্পী - দীপঙ্কর দে
থিম শিল্পী- দেবাশিস ধারা
পথ-নির্দেশ - হাওড়া থেকে বাসে নবান্নের কাছে নবারুণ সংঘের মাঠ
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy