পুটিয়ারি ক্লাব সর্বজনীন দুর্গোৎসব দেখতে দেখতে ৭৬ বছরে পা দিল। পুটিয়ার ক্লাব সর্বজনীন দুর্গোৎসব ঘিরে স্থানীয় এলাকাবসীর মধ্যে উন্মাদনা থাকে দেখার মতো। প্রাচীন এই পুজো উদ্যোক্তা সুরজিৎ দাসের কথায়, ‘‘এই পুজো সবার পুজো। এই পুজো ছাড়াও আমরা সারা বছর বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজকর্ম করে থাকি। প্রচুর মানুষ আমাদের এই পুজো দেখতে আসেন।’’
থিম শিল্পী পার্থ দাসের কথায়, ‘‘চারিদিকে নানা প্রতিকূলতা, লক্ষ্যভ্রষ্ট করার হাতছানি। সমাজ কি লক্ষ্যচ্যুত না কি দিশাহীন? তা হলে ব্যক্তি মানুষের লক্ষ্য কি? কিংবা কি হওয়া উচিত! ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর এই তিন দেবতা মহিষাসুরের ত্রাস থেকে স্বর্গ ও মর্ত্যকে রক্ষা করতে সম্মিলিতভাবে দেবী দুর্গাকে সৃষ্টি করেছিলেন। দুর্গা মানে শক্তি— এই শক্তি অশুভ শক্তির বিনাশের জন্য সৃষ্টি। সমষ্টি বা সামগ্রিক লক্ষ্যভেদের মাধ্যমে পূরণ হয় ব্যক্তি মানুষের লক্ষ্য। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষাই হচ্ছে মানুষের জীবনের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য। আমরা জীবনের জন্য, সমাজের জন্য, সুন্দর পৃথিবীর জন্য লক্ষ্য পূরণের ভাবনা সাজাই। ছোট ছোট পরিসরে ছোট্ট স্বপ্নগুলোই এক বৃহৎ লক্ষ্যের দিশারী হোক। এটাই আমাদের সবার লক্ষ্য।’’
কীভাবে যাবেন : ১ নম্বর যদুনাথ উকিল রোডে পোঁছতে হলে কুদঘাঁট বাস স্টপ থেকে লক গেট ছাড়িয়ে কাছেই এই পুজো আর করুণাময়ী হয়ে এলে ব্রজমোহন তেওয়ারি ইনস্টিটিউশন থেকে কাছেই এই পুজো।
থিম: লক্ষ্য
থিম শিল্পী : পার্থ দাস
প্রতিমা শিল্পী: সনাতন পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy