রামমোহন রায় রোডে ১৬ টি বাড়ি নিয়ে একটি পাড়া রামমোহন সম্মিলনী। মধ্যবিত্ত পরিবারের বাস। কিছু বহু তল বাড়িও আছে। ১৯৪৫ সাল থেকে শুরু পুজোর। সবাই একটা পরিবারের মতো এক সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুজোটি হয়। মহিলাদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো। আগে সাবেকি পুজো হলেও বর্তমানে থিম পুজোর আয়োজন।
এই বছর থিম ‘সাগর কন্যা’। সাগরই তাদের জীবন, বেঁচে থাকার আশা ভরসা। তাদের স্বামী পেশায় মৎস্যজীবী। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরাই জীবিকা। কিন্তু পরিবারের দিন কাটে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা মধ্যে সাগর পাড়ে ।
সাংসারিক অপূর্ণতা, আর্থিক ও সামাজিক অনিশ্চয়তা, সেই সঙ্গে মহাজন, সর্দারদের অত্যাচার মাথায় নিয়ে কঠিন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে দিন কাটে সাগর কন্যাদের। রাতের পর রাত বিনিদ্র দুশ্চিন্তা। মানুষটি কখন ফিরবে? মাছ কতটা উঠবে? তার স্বামী মাছ ধরে ঘরে ফিরলে আনন্দে প্রাণ ভরে ওঠে। এত দুঃখ কষ্ট যন্ত্রনা সহ্য করেও শক্ত মনে হাসি মুখে সংসার চালায় সাগরকন্যারা। এই বছরের থিম তাঁদের নিয়েই।
পুজোর সম্পাদক অনির্বাণ সেনগুপ্তের বললেন, ‘‘৮৯তম বছরে রামমোহন সম্মিলনীর নিবেদন সাগর কন্যা। মৎসজীবী সম্প্রদায়ের নারীদের যে জীবন সংগ্রাম তাঁর সঙ্গে মানিয়ে জীবন এগিয়ে নিয়ে চলা এবং পুজোয় সামিল হয়ে ওঠা এই সব নিয়ে এই বছরের ভাবনা। মেদিনীপুরের সমুদ্রের কাছের অঞ্চল থেকে শিল্পী নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁরা মণ্ডপ নির্মাণে সাহায্য করেছেন।“
কী ভাবে যাবেন শিয়ালদহ থেকে মানিকতলার দিকে যেতে সুকিয়া স্ট্রিট বাস স্টপে নামতে হবে। সেখানেই রয়েছে রামমোহন মঞ্চ। তাঁর পাশে চলে গিয়েছে রামমোহন রায় রোড। সেই রাস্তায় ঢুকে এগোলে ৫০মিটারের মধ্যেই পুজা মণ্ডপ।
থিম সাগর কন্যা
থিম শিল্পী তাপসী সাহা
প্রতিমা শিল্পী পরিমল পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy