১৭তম বর্ষে শীতলা মৈত্রী সঙ্ঘের পুজোর থিম 'গম্ভীরা'।
গম্ভীরা প্রাচীন বাংলা লোক সংস্কৃতির অন্যতম একটি ধারা। কিন্তু অনেকের মতে, পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্য আধুনিক বাংলা সংস্কৃতিতে যতটা পরিসর পায়, মালদহের গম্ভীরা তা নয়। এই লোকনৃত্যকে সেই ভাবনা থেকেই থিমে তুলে ধরার প্রচেষ্টা এই পুজোয়।
সোনারপুরের অন্যতম জমকালো দুর্গাপুজো কমিটির সাধারণ সচিব প্রসেনজিৎ মজুমদার আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন, মালদহ ছাড়াও বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জে এই প্রাচীন লোকসঙ্গীতের প্রচলন রয়েছে। মালদহে গম্ভীরায় দলবদ্ধ ভাবে মুখোশ পরে গানের তালে তালে নৃত্য পরিবেশিত হয়। ছৌ নাচের মতোই অনেকটা। গম্ভীরার নাচে হিন্দু পৌরাণিক চরিত্রের বিভিন্ন ধরনের মুখোশ ব্যবহৃত হয়। মালদহে নিম ও ডুমুর গাছের অংশ বিশেষ বা মাটি দিয়ে সেই মুখোশ তৈরি করা হয়।
সে সব মুখোশই থাকছে শীতলা মৈত্রী সঙ্ঘের মণ্ডপে। গান-নাচের বাইরে গম্ভীরা শিল্পীদের রুজি নির্ভর করে বাঁশ ঝাড়া, কাটা এবং মাছের চারা তৈরির উপরে। সেই বিষয়টাও থাকছে থিমে। বাঁশ ও ছিপের নানা কাজে সুসজ্জিত থাকছে পুরো মণ্ডপ। দেওয়ালে থাকছে গম্ভীরা শিল্পীদের দিন যাপনের লড়াইয়ের গল্প। পুরো ভাবনাই থিম শিল্পী রাজেশ মণ্ডলের। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা গড়ছেন তিনিই।
ভাবনা: গম্ভীরা
ভাবনায় ও প্রতিমা শিল্পী: রাজেশ মণ্ডল
কী ভাবে যাবেন: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর রেল স্টেশনে নেমে অটো চেপে পদ্মমধু মোড়। সেখানেই এই পুজো।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy