প্রতীকী ছবি।
দুর্গাপুজো-লক্ষ্মীপুজো শেষ হয়েছে তো কী? উৎসবের মরসুম এখনও শেষ হয়নি। সামনেই কালীপুজো, সারা ভারতের আলোর উৎসব। রঙিন আলোর রোশনাইয়ে আবার আলোকিত হবে পথ-ঘাট, ঘরের আঙিনা। সেজে উঠবে রাতের আকাশ। কিন্তু আগের বছরের মতোই এ বারেও উৎসবে মৃদু বিষাদের সুর। অতিমারির প্রকোপ থেকে মেলেনি সম্পূর্ণ মুক্তি। আগের বছর বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু সরকারি বিধি-নিষেধ ছিল। তাই অনেকেরই বাজি বেঁচে গিয়েছিল। ভাবছেন সেই বাজিগুলি নিয়ে কী করবেন?
পুরনো বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে সামান্য ঝুঁকি থেকেই যায়। কারণ তা কী ভাবে পুড়বে আগে থেকে বোঝা যায়না। কিন্তু সেগুলি একেবারে আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেওয়ারও কারণ নেই। কী ভাবে ব্যবহার করবেন পুরনো বাজি?
১) বাজি দীর্ঘ দিন বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে থাকলে অনেক সময়ে তাতে ড্যাম্প লেগে যায়। তাই প্রথম কাজ হল বাজিগুলি বাক্স থেকে বার করা।
২) বাজিগুলি প্রতি দিন রোদে দিন। রোদ খেলে বাজিগুলি থেকে আর্দ্র ভাব দূর হবে। রোদে দেওয়ার সময়ে নজর রাখুন বাইরে, মেঘ করে এলে সঙ্গে সঙ্গে তুলে নিতে হবে। একবার বৃষ্টিতে ভিজে গেলে সমস্তই পন্ডশ্রম হবে।
৩) রোদে দেওয়ার সঙ্গে যদি বাজিগুলির তলায় কাগজ পেতে দেন তা হলে আরও ভাল। ভিতরে জল থেকে থাকলে তা কাগজ শুষে নেবে।
৪) এখন ধীরে ধীরে দিন ছোট হয়ে আসছে, শীতও বাড়ছে। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন বিকেল নামতেই শিশিরও পড়তে শুরু করে, এবং রাত বাড়লে শিশিরও বাড়ে। খেয়াল রাখবেন যেন কোনও ভাবেই বাজিতে শিশির না লাগে। তাই দিন শেষ হওয়ার আগেই তুলে নিতে হবে বাজি।
৫) মাথায় রাখবেন, যদি বাজির মাত্র এক দিক উত্তাপ পায়, তা হলে তা এক দিক থেকেই পুড়বে। বিশেষ করে চড়কি, ফুলঝুরির ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলি বেশি হয়। তাই খেয়াল করে বাজি রোদে দেওয়ার সময়ে তা মাঝেমাঝেই উল্টেপাল্টে দিতে হবে। নজর করতে হবে যেন বাজিগুলির সব দিকই রোদ পায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy