শহর জুড়ে আজ প্রচণ্ড যান-বিভ্রাট। পাড়ায় রিকশা নেই। টোটো নামমাত্র। অটো স্ট্যান্ডে অটো কম।বাসও কম অন্য দিনের চেয়ে। হলুদ ট্যাক্সির কাঁচ নামিয়ে ড্রাইভার হাওয়া খাচ্ছে। সবাই বিশ্বকর্মা পুজোয় ব্যস্ত।
অ্যাপ ক্যাবে সাধারণ দিনের ৩০০ টাকার ভাড়া সকালবেলা সাড়ে ৫০০ ছুঁয়েছে। তা’ও পাওয়া যায়নি। বারবার বাতিল বুকিং। গাড়ি মেলেনি আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও। মেট্রোয় ঠাসাঠাসি ভিড় অফিস টাইমে।
অফিসযাত্রীরা চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার। দমদম অঞ্চলের এক বাসিন্দা বললেন, তিনি থাকেন ১ নম্বর গেটের কাছে। অফিস পৌঁছতে হয় রোজ সাড়ে ৯’টায়। বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন ৮টায়। আজ রাস্তাঘাটের অবস্থা আন্দাজ করে আরও আধ ঘণ্টা আগে বেরিয়েছিলেন। রিকশা পাননি। টোটো পাননি। ট্যাক্সিও না। শেষে কোনও ক্রমে একটা অটোচালককে হাতে পায়ে ধরে নাগেরবাজার যান। সেখানেও অবস্থা তথৈবচ। শেষে সেখান থেকে আবার অটো ধরে বেলগাছিয়া মেট্রো। চূড়ান্ত ভিড় ঠেলে অফিস গিয়েছেন ১১টার সময়।
শ্যামবাজার এলাকার এক নাগরিক বললেন, তাঁর মা অসুস্থ। ডাক্তার দেখানোর জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন রাস্তায়, ট্যাক্সির আশায়। শেষে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন। এখন কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।
পুজোর দিনে এই সমস্যা নতুন নয়। আগের চেয়ে সমস্যা খানিক মিটলেও ভোগান্তি থেকেই যাচ্ছে। আনন্দবাজার অনলাইল-এর তরফে এই কারণ নিয়ে ট্র্যাফিক কনট্রোলে ফোন করে কথা বলা হয়। তাঁরা বলেন, সকালের দিকে গাড়ি ঘোড়া কম থাকলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তার সঙ্গে এও যোগ করেন তাঁরা যে, আগে যেমন সারা দিন ধরে এই যান না পাওয়ার সমস্যাটা থাকত, এখন সেই অবস্থাটা অনেক নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে।
কাল আবার গণেশ চতুর্থী। অফিসকাছারি আছে। লোকজনের অসুস্থতা আছে। অবস্থা কতটা স্বাভাবিক থাকবে, এ নিয়ে সাধারণ নাগরিকের অনেকের কপালেই ভাঁজ। আজ সকালে যা হ্যাঁপা গিয়েছে, তার জেরে অনেকেই ভাবছেন, সন্ধেটা কেমন যাবে, কে জানে!
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy