১. নাহান: হিমাচলের ছোট্ট শৈলশহর। চণ্ডীগড় থেকে বেশি দূর নয়। গাড়িতে ঘন্টা তিনেকের দূরত্ব। এক কালে সিরমুর এস্টেটের সদর ছিল। ট্রেকিং, হাইকিং যাঁদের প্রিয়, তাঁদের জন্য দুর্দান্ত পছন্দের জায়গা। নির্জন, নিরিবিলি, সামনেই পাহাড়-চুড়ো, পাহাড়ের কোলে ঝরণা, মন্দির- সব মিলিয়ে যাকে বলে 'পিকচার পোস্টকার্ড' দৃশ্য! পাহাড়ি শহরের সর্পিল জঙ্গুলে পথ পেরিয়ে ঘুরে আসতে পারেন বাধোলিয়া মন্দির। নীচে নামার সময় পাবেন জালাল নদী।
এতটাই নির্জন চারপাশ, দিনের বেলায় নিশ্চিন্তে স্নান সারতে পারেন নদীতে। রাতে তারা ভরা আকাশ, ঝিঁঝিঁর নিরবিচ্ছিন্ন ডাক ঠিক যেন অলৌকিক পরিবেশের সৃষ্টি করে! ভোর হলে বেরিয়ে পড়ুন রেনুকাজি মন্দিরের উদ্দেশ্যে। পুরাণ অনুসারে ভগবান পরশুরামের মা রেনুকাজি। মন্দিরের পাশেই বিরাট হ্রদ। পরশুরাম তাল। চারপাশ এতটাই অবিশ্বাস্য রকমের নির্জন যে, গাছের পাতা পড়লেও শব্দ পাবেন!
২. দোভি: কুলু থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে এক অপরূপ নৈসর্গিক পাহাড়ি গ্রাম। বেড়াতে গিয়ে সম্পূর্ণ নিরালা পরিবেশ যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য আদর্শ শৈলস্থান এটা। উচ্ছ্বল বিপাশা নদী, ধৌলধার এবং পিরপাঞ্জাল পর্বতশ্রেণীর চরাচরব্যাপি ক্যানভাস অতুলনীয় নয়নাভিরাম। প্যারাগ্লাইডিং, খরস্রোতা বিপাশা বা বিয়াস-এ র রাফটিঙ, বৌদ্ধ কলোনি, মনাস্টারি এখানকার বৈশিষ্ট্য। অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করলে হোটেলে না থেকে সুইস ক্যাম্পেও থাকতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy