Advertisement
১৯ মার্চ ২০২৪
International

রোজগার্ডেন থেকে সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, আওয়ামি লিগের পথ চলার ইতিহাস

বাংলাদেশের জন্মের সাথে মিশে আছে যে রাজনৈতিক দলটি, সেই আওয়ামি লিগের ২০তম সম্মেলন শুরু হল। ২৩ জুন ১৯৪৯ যে দলটি যাত্রা শুরু করেছিলে রোজ গার্ডেন হোটেলে সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে, প্রচুর ঘাত প্রতিঘাত পেরোতে হয়েছে সেই দলটিকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দলটি বাঙালি জাতিগোষ্ঠীকে দিয়েছে তাদের নিজস্ব ভুমিখণ্ড বাংলাদেশ।

অঞ্জন রায়
ঢাকা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৬ ১৪:১৮
Share: Save:

বাংলাদেশের জন্মের সাথে মিশে আছে যে রাজনৈতিক দলটি, সেই আওয়ামি লিগের ২০তম সম্মেলন শুরু হল। ২৩ জুন ১৯৪৯ যে দলটি যাত্রা শুরু করেছিলে রোজ গার্ডেন হোটেলে সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে, প্রচুর ঘাত প্রতিঘাত পেরোতে হয়েছে সেই দলটিকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দলটি বাঙালি জাতিগোষ্ঠীকে দিয়েছে তাদের নিজস্ব ভুমিখণ্ড বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামি লিগের রাজনৈতিক ইতিহাস এ ভূখণ্ডের বাঙালি জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। জন্মের পর থেকে দলটিকে নানা চড়াই-উতরাই পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। ৬৭ বছরের পুরনো রাজনৈতিক দলটি ক্ষমতার থেকেছে মাত্র দুই দশক। আর বাকিটা সময় থেকেছে লড়াইয়ে-সংগ্রামে, গণমানুষের অধিকার আদায়ে। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট সপরিবার হত্যা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে। সে দিন দেশে না থাকাতে প্রাণে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ হাসিনার উপরেও হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা হয়েছে ২০ বারের বেশি। আমরা দেখেছি ২১ অগস্টের গ্রেনেড হামলা।

১৯৪৯ সালের ২৩-২৪ জুন পুরনো ঢাকার কেএম দাস লেনের বশির সাহেবের রোজ গার্ডেনের বাসভবনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামি মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন প্রথম কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে তিনি সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৫৩ সালের ৩ থেকে ৫ জুলাই মুকুল সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সম্মেলন। এই সম্মেলনেও সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা ভাসানি। আর দলের সাধারণ সম্পাদক হন শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৫৫ সালে তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয় আওয়ামি লিগ। এ সম্মেলনে পুনরায় নেতৃত্বে আসেন মাওলানা ভাসানি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৫৭ সালের ১৩-১৪ জুন চতুর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিন আরমানিটোলার নিউ পিচকার হাউজে এবং দ্বিতীয় দিন গুলিস্তান সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে মওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৭ সালের মার্চে মাওলানা ভাসানি দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালেও সম্মেলনে ভাসানিকেই সভাপতি করা হয়।

আওয়ামি লিগের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৪ সালে। ইডেন হোটেল প্রাঙ্গণে ৬-৮ মার্চ অনুষ্ঠিত সেই সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান, সভাপতি করা হয় মওলানা তর্কবাগীশকে।

১৯৬৬ সালের ষষ্ঠ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর ‘ছয় দফা’ দলীয় ফোরামে পাস হয়। ১৮ থেকে ২০ মার্চ হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। আর সাধারণ সম্পাদক হন তাজউদ্দিন আহমেদ।

১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাগারে আটক, তখন অনুষ্ঠিত হয় দলের সপ্তম জাতীয় সম্মেলন। ওই বছরের ১৯-২০ অক্টোবর হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি ও তাজউদ্দিন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হন।

অষ্টম সম্মেলন ১৯৭০ সালের ৪ থেকে ৫ জুন হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি ও তাজউদ্দিন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এটি ছিল পাকিস্তান আমলে আওয়ামি লিগের সর্বশেষ সম্মেলন।

১৯৬৯-এর গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসক-শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির যে জাগরণ ও বিজয় সূচিত হয়, সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামি লিগ এবং এই আন্দোলনের পথ ধরেই বাঙালি জাতি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

১৯৭২ সালের ৭ থেকে ৮ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের প্রথম এবং সব মিলিয়ে নবম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি ও জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

আওয়ামি লিগের দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। সম্মেলনের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এতে এএইচএম কামরুজ্জামান সভাপতি ও তাজউদ্দিন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা। ৩ নভেম্বর জেলখানায় আরও চার জাতীয় নেতাকে হত্যার পর গভীর সংকটে পড়ে আওয়ামি লিগ। ১৯৭৭ সালের ৩-৪ এপ্রিল হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে দলের ১১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন।

এর পরের বছর ১৯৭৮ সালে ১২তম সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন আবদুল মালেক উকিল এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আব্দুর রাজ্জাক। ১৯৮১ সালের ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি ১৩তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামি লিগের নেতৃত্বে আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সে সময় তিনি ভারতে ছিলেন। সেই সম্মেলনে শেখ হাসিনা সভাপতি ও আব্দুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দলের নেতৃত্ব পাওয়ার পর ১৭ মে ১৯৮১ দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। ১৯৮২ সালে আব্দুর রাজ্জাক দলত্যাগ করলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

১৯৮৭ সালের ১ থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামি লিগের ১৪তম জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনে শেখ হাসিনা সভাপতি ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

এরপর ১৯৯২ সালের ১৯-২০ সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দলের ১৫তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে শেখ হাসিনা সভাপতি ও জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৯৭ সালের ৬-৭ মে ১৬তম জাতীয় সম্মেলন হয় আওয়ামি লিগের। এর আগের বছরেই প্রায় ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে দলটি। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা ও জিল্লুর রহমান।

২৬ ডিসেম্বর ২০০২ আওয়ামি লিগ যখন বিরোধী দলে তখন পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় দলের ১৭তম জাতীয় সম্মেলন। এ সম্মেলনে সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আব্দুল জলিল।

২০০৮ সালে আওয়ামি লিগ একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে। এরপর ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত ১৮তম জাতীয় সম্মেলন হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। সম্মেলনে শেখ হাসিনা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

২০১২ সালে ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয় দলটির ১৯তম জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

শনিবার সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে বর্তমান সম্মেলনের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন আওয়ামি লিগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামি লিগের স্লোগান হচ্ছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার। এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’। আওয়ামি লিগের এই ২০তম জাতীয় সম্মেলনে ৬ হাজার ৫৭০ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। কাল রবিবার দলের নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা হবে।

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামি লিগের সম্মেলন উপলক্ষে এখন ঢাকায় সাজ সাজ রব। সম্মেলনে অংশ নিতে দেশ-বিদেশের নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসেছেন। ক্ষমতাসীন দলটির সম্মেলন উপলক্ষে গোটা ঢাকা শহরকে সাজানো হয়েছে বর্ণিলভাবে।

সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, ধানমণ্ডিতে আওয়ামি লিগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, রাজধানীর প্রবেশদ্বার, এয়ারপোর্ট, মতিঝিল-সহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাজসজ্জা করা হয়েছে। সড়ক-দ্বীপগুলোও সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পেয়েছে নতুন রূপ। বিশেষ করে রাতের রাজধানী রূপ পাল্টে গেছে বর্ণিল আলোর বিচ্ছুরণে।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আওয়ামি লিগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় বড় ছবি টাঙানো হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন ব্যানার আর ফেস্টুনে রয়েছে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি। এবার আগে থেকেই ছবির ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে এই তিন জনের বাইরে ব্যানার-ফেস্টুনে আর কারও ছবি শোভা পাচ্ছে না। কোথাও কোথাও রয়েছে বর্তমান আওয়ামি লিগ সরকারের আমলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিবরণ।

রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের ওপরে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব তোরণগুলোতে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসের বিভিন্ন আলোক চিত্র সাঁটানো হয়েছে। তাছাড়া জঙ্গিবাদের পক্ষ নিয়ে বিএনপি ও তাদের সম মনস্ক রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বক্তব্য তুলে দেওয়া হয়েছে লিফলেট, ব্যানার ও পোস্টারে।

এ বারের সম্মেলনের প্রচারে প্রযুক্তিরও ব্যবহার করছে আওয়ামি লিগ। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-সহ বিভিন্ন স্থানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ-সহ তাঁর ওপর বিভিন্ন প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। শহরের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সড়কে দাঁড়িয়ে এ সব দেখছেন। সম্মেলনের মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও ফেসবুকের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে আওয়ামি লিগ নেতারা জানিয়েছেন।

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দীতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মোট ছয়টি প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে সেখানে। এ ছাড়া রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতেও দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরা আছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের স্বাগত জানাতে। বিভিন্ন পথে যান চলাচলও নিয়স্ত্রণ করা হচ্ছে। পরদিন রবিবার পর্যন্ত এই নিয়ন্ত্রণ চলবে।

শনিবার সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সম্মেলনের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামি লিগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৌকার আঙ্গিকে তৈরি করা হয়েছে সম্মেলনের মূল মঞ্চ। লম্বায় ১৫০ ফুট, চওড়ায় ৮৪ ফুট। মঞ্চের ছাদের উচ্চতা ৪২ ফুট। নির্মাণকাজে যুক্ত কর্মীরা জানান, মূল মঞ্চ হয়েছে পাঁচ স্তরের।

বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের এবারের সম্মেলন থাকছেন দেশি বিদেশি অতিথিরা। এঁদের মধ্যে ভারত থেকে থাকছেন- বিজেপি সহ সভাপতি বিনয় প্রভাকর শাহাস্রবুদ্ধে, সাংসদ রূপা গাঙ্গুলী। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গেছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গোলাম নবি আজাদ, সংসদ সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য, মৌসুম নুর, অভিজিত মুখোপাধ্যায়। সিপিআইএম-এর প্রতিনিধি হয়ে গেছেন বিমান বসু। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুকান্ত আচার্য এবং দেবব্রত বিশ্বাস। গেছেন ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি বিপ্লব কর দেব। সঙ্গে নীতি দেব। অসম ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সবুর তফাদার, অসম গণপরিষদের তরফে প্রফুল্ল মহন্ত, জেজি মহন্ত গিয়েছেন। মণিপুর পিপলস পার্টির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা গিয়েছেন। গিয়েছেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির মজিদ মেমন, মিজোরাম ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতারাও।

এই সম্মেলনে ব্রিটেন থেকে এসেছেন ওয়েলস গভর্নমেন্টের কার্ডিফ সেন্টারের এএম জেনি র‌্যাথবোন, সিটি অব কার্ডিফ কাউন্সিলের কাউন্সিলর ফর ল্যান্ডাফ নর্থ দিলওয়ার আলি।

অস্ট্রেলী অতিথির মধ্যে আছেন নিউ সাউথ ওয়েলসের স্টেট মেম্বার অব পার্লামেন্ট হাগ ম্যাকডেরমট, ব্লাকটাউন সিটি কাউন্সিলের লেবার পার্টির নেতা মানিন্দরজিত সিং, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি ফাচ এর্নস্ট গ্যাফ।

ইতালি থেকে এসেছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এমপি উগো পাপি এবং খালিদ চওকি।

নেপাল থেকে এসেছেন সে দেশের তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী দিননাথ ডুঙ্গিল, প্রাক্তন শ্রম ও মানবসম্পদমন্ত্রী দরজি ওয়াংরি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (কমিউনিস্ট পার্টি), রাধিকামস শাকিয়া, এমপি রাজন ভাটারি, নেপালি কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা রাম শর্মা মহত।

রাশিয়া থেকে এমপি সার্গেই ঝেলেঝনিয়াক, উপদেষ্টা ভ্যালেরিয়া গোরোকোভা, এমপি আলেক্সাজান্ডার পোতাপোভ। শ্রীলঙ্কা থেকে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির এমপি এএইচ মহঃ হাশিম, রাহামাথুল মালিক পতিম, এমপি শান্তি শ্রীকান্দারাসা, শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির এমপি জগত পুষ্পকুমারা। কানাডা থেকে এমপি দিপক ওভেরয় থাকছেন আওয়ামি লিগের এই ২০তম জাতীয় সম্মেলনে।

অতিথি হিসাবে আছেন চিনের উপমন্ত্রী ঝেং জিয়াসং, কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার মহাপরিচালক জুয়ান ঝিবিন, উপ-পরিচালক জিয়া পেং ডি, উপ-পরিচালক চাও ঝিগ্যাং, গাও মিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Awami League BNP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE